
চট্টগ্রামের হালিশহরে দুর্ঘটনায় (লাইনচ্যুত) কবলিত হয়ে তেলবাহী ৩টি ওয়াগন আজ দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। ওয়াগন তিনটি উদ্ধার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে যাওয়া ওয়াগন ৩টি থেকে পড়া তেল পার্শ্ববর্তী মহেশ খাল হয়ে আশেপাশের কৃষিজমি ও নালায় ছড়িয়ে পড়ার কারণে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি ও পরিবেশের ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
আজ সকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এর মধ্যে দুটি ওয়াগন পুরোপুরি এবং একটি আংশিক কাত হয়ে প্রায় ৪০ হাজার লিটার ডিজেল নিঃসরিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিকে রেলওয়ের চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে (সিজিপিওয়াই) প্রবেশের পথে তেল বাহী (ডিজেল) রেলের ওয়াগন ৩টি লাইনচ্যুত হয়।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায় লাইনচ্যুত ওয়াগনে ৬০ হাজার লিটার ডিজেল ছিল। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার লিটার তেল পড়ে গেছে।
আজ দুপুর বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান বলেন, লাইনচ্যূত ওয়াগন তিনটি উদ্ধারে কাজ চলছে। সকাল ৭টা পর্যন্ত উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌছে কাজ করছে। ওই ওয়াগনগুলো উদ্ধারে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানায় তিনি।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াগন থেকে পড়া তেল আসে পাশের কৃষিজমিতে ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে। আজ সকালে আমাদের গবেষণাগার কার্যালয়ের একটি টিম দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে এনেছে।