
পর্যটন শহর কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (১৭ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে শহরের হোটেল-মোটেল জোনের ‘সি আলিফ’ নামক হোটেলের ৪১১নং কক্ষ থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, মা সুধা দে (৩৫) ও মেয়ে সুমা দে (দেড় বছর)।
কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সী আলিফ হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার ইসমাইল জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে তিন সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে ওঠেন দুলাল বিশ্বাস ও সুমা দে। তারা ঠিকানা উল্লেখ করেছিলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকায়। শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদের রুম ছাড়ার কথা ছিলো। সেই হিসেবে সকাল সাড়ে ১১ টায় হোটেলের এক কর্মচারী ওই রুমে গিয়ে দেখেন স্ত্রী ও এক শিশুর মরদেহ পড়ে রয়েছে।

এ বিষয়ে কর্মচারী শাখাওয়াত জানান, সকাল সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত কোন সাড়াশব্দ পাওয়া না যাওয়ায় ওই রুমে গিয়ে কয়েকবার ডাকেন তিনি। কিন্তু ভেতর থেকে সাড়া পাওয়া না যাওয়া পরে ম্যানেজারের নির্দেশে মাস্টার কি (অতিরিক্ত চাবি) দিয়ে তালা খুলে দেখেন নারী ও শিশুর মরদেহ পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশকে খবর দেয় তারা।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, দুলাল বিশ্বাস ও সুমা দে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে তিন সন্তান নিয়ে সী আলিফের ৪১১ নাম্বার কক্ষে উঠেছিলেন। হোটেল কক্ষ থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও স্বামী এবং বাকি দুই সন্তানের কোনও খোঁজ মেলেনি।
কেনো কি কারণে হত্যা করা হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখার জন্য সিআইডিসহ পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ শুরু করেছে। মরদেহগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত মহিলা চট্টগ্রাম বাশঁখালীর বাসিন্দা। সে গত ১৪ ফ্রেবুয়ারি ৩টি ছেলে ও স্বামী- স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেল রুম নেন। তারা কয়েকদিন কক্সবাজার শহরে ঘুরে বেড়ান। আজ সকালে তারা সবাই হাসিমুখে ছিল। কিন্তু হঠাৎ তাদের রুম খোলা দেখে হোটেল বয় গিয়ে দেখে মা ছেলের মরদেহ পরে আছে। পরে হোটেল কতৃপক্ষ ৯৯৯ কল দিয়ে জানালে আমরা ঘটনা স্থলে আসি। ঘটনার পর ২ ছেলেকে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় স্বামী পরিচয় দেওয়া লোকটি।
তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে সেটির রহস্য বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ।