
কক্সবাজার সদরের বাজারঘাটা এলাকায় সি বার্ড নামে একটি আবাসিক হোটেলে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব-৭। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় আত্মগোপনে থাকা মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক মোস্তাফিজুর রহমান খুলনার বাগেরহাট সদর উপজেলার আতাইকাঠী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা দিবসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এক নারীকে নিয়ে কক্সবাজার শহরের হোটেল সী বার্ডেে উঠে। পরদিন হোটেল কক্ষ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মোস্তাফিজুর পালিয়ে যায়।
আরোও খবর: কক্সবাজার হোটেলে স্ত্রী-কন্যাকে হত্যা : স্বামী দুলাল চট্টগ্রামে আটক
আজ দুপুরে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটস্থ র্যাব-৭ কার্যালয়ে সংবাদ সস্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সি বার্ড নামক আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আগের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই হোটেলে উঠেছিলেন মোস্তাফিজ ও এক নারী। পরদিন সন্ধ্যায় তিনি হোটেল কক্ষের বাইরে তালা দিয়ে বেরিয়ে যান। সন্ধ্যায় হোটেলবয় কক্ষের দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করলে দরজা তালাবদ্ধ দেখেন। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ওই কক্ষ থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মোস্তাফিজকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় র্যাব। এরপর প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মোস্তাফিজের অবস্থান চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানা এলাকায় শনাক্ত করে। শেষে র্যাব অভিযান চালিয়ে আসামি গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে মাদক ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে চারটি মামলা রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে র্যাব জানায়, ওই নারী মোস্তাফিজের স্ত্রী নয়। এর আগেও একাধিকবার নারী নিয়ে হোটেলে ছিলেন তিনি। ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই নারীকে নিয়ে হোটেলে অবস্থানের সময় বিতণ্ডা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ওই নারীকে হত্যার পর হোটেল থেকে পালিয়ে যান।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, ওই নারীকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে র্যাবের কাছে। তবে ওই নারীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তাই ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে।