চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না তখন শত প্রতিকূলতার মধ্যেও জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে ছিল। আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ তাই অরাজকতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায়।
শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিএনপি জামাতের অরাজকতা ও নাশকতা বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এবং জনগণের জানমাল রক্ষার প্রত্যয়ে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শান্তি সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন বলেন, বিএনপি মুখে বললে তারা গণতান্ত্রিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়। অথচ তারা এর বিপরীত। তাদের দলের জন্মই বন্দুকের নলের মাধ্যমে। অবৈধ ক্ষমতা দখল করার পর তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেছিল। ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেওয়া একটি দল কিভাবে গণতান্ত্রিক হতে পারে সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিেরাধিতা প্রদান করে বক্তব্য প্রদান করেছিলেন শাহ আজিজুর রহমান তাকেই তিনি প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন এবং ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিমের মত একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রীত্ব দিয়েছিলেন। তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ও আল মোজাহিদ এবং সালাউদ্দীন কাদেরকে মন্ত্রীত্ব দিয়েছিলেন। এখন প্রশ্ন জাগে বিএনপি কী আসলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে?
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, দিদারুল আলম চৌধুরী, বাবু জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য জাফর আলম চৌধুরী, ড. নেছার আহমেদ মঞ্জু, থানা আওয়ামী লীগের হাজী সিদ্দিক আলম, সাহাব উদ্দীন আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের স্বপন কুমার মজুমদার, এড. শাহেদুল আজম শাকিল। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ ইছহাক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য চন্দন ধর, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুল আহাদ, হাজী জহুর আহমদ, ড. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য হাজী দোস্ত মোহাম্মদ, সৈয়দ আমিনুল হক, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মোঃ জাবেদ, রোটারিয়ান মোঃ ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের মোঃ আবু তাহের, এ.এস.এম. ইসলাম, কাজী আলতাফ হোসেন, আনছারুল হক, আবু তাহের, মোঃ ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া, আব্দুল আজিজ মোল্লা, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, হাজী আলী বক্স, আবুল হাসেম বাবুল, আব্দুল হান্নান, নুর মোহাম্মদ নুরু, জামাল উদ্দীন, আবছার উদ্দীন চৌধুরী, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দীন, রুহুল আমিন মুন্সী, মোঃ ইয়াকুব, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, মিথুন বড়ুয়া, আলী নেওয়া, এড. আইয়ুব খান, আব্দুর শুক্কুর ফারুকী, দিদারুল আলম মাছুম, সালাউদ্দীন ইবনে আহমেদ, আবু তৈয়ব সিদ্দিকী, নাজিমুল ইসলাম মজুমদার, খালেদ হায়াত খান মাসুক, লুৎফুল হক খুশি, মোঃ রিদুয়ানুল হক প্রমুখ।
