সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখেনা পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে পুলিশ। বিস্ফোরণের পর অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জনের বেশি।
আহত ও নিহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর সীতাকুণ্ড, কুমিরা ও চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার স্টেশনের কয়েকটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপণ ও উদ্ধার কাজ চালায়।
৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক বলেন, এখন পর্যন্ত মেডিকেলে ১০ জন আসছে। ৫জন মারা গেছে। মৃত দেহ জরুরি বিভাগে আছে।
আহতদের চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ক্যাজুলয়াটি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
নিহতদের দুইজন হলেন- শামসুল আলম (৫০) ও অজ্ঞাত পুরুষ (৪০)। নিহত বাকি ৪ জনের তথ্য এখনো জানা যায়নি।
আহতদের কয়েকজন হলেন- মো. নূর হোসেন (৩০), মো. আরাফাত (২২), মোতালেব (৫২), ফেনসি (৩০), মো. জসিম উদ্দিন (৪৫), নারায়ণ (৬০), মো. ফোরকান দাদা (৩৫), শাহরিয়ার (২৬), মো. জাহিদ হাসান (২৬)।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি বলেন, সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
৬ জনের মৃত্যু কথা জানিয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম জানান, অক্সিজেন প্ল্যান্টের ভেতরে ৩ জন মারা গেছেন। আরেকজন প্ল্যান্টের বাইরে মারা গেছেন।
ঘটনাস্থল থেকে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছি।
বিকট শব্দে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বিস্ফোরণে কারও কারও দেহের বিভিন্ন অংশ উড়ে যায়। কয়েকজন নিহত হওয়ার খবর তারা শুনেছেন।
এর আগে গত বছরের ৪ জুন বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫১ জনের মৃত্যু এবং আড়াই শতাধিক মানুষ আহত হয়।
