
চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানার জামালখানে কাচ্ছি ডাইং রেষ্টুরেন্ট থেকে জামায়াত নেতাকর্মীকে ৩০ জনেক আটক করেছে পুলিশ।
আজ রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, গোপন সভা করার সময় ৩০ জনকে আটক করে আনা হয়েছে। তাদের বিষয়ে যাচাই- বাছাই করা হচ্ছে।
রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটক নেতাকর্মীদের নাম পরিচয় ও বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ।
তবে টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির একজন নেতা জানান, আটককৃতরা জামায়াত নেতা না। তারা সবাই টেরিবাজার ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও সদস্য। মূলত টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির দুই গ্রুপের দ্বন্ধে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে জামায়াত শিবির বলে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের ঘনিষ্ট্যজন হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ ইদ্রিস, ব্যবসায়ী মনসুর, বিএনপি সমর্থক মো.আলমগীর, আব্দুল করিমও রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেরিবাজারে এক ব্যবসায়ী জানান, কোতোয়ালীতে আটককৃতরা কেউ জামায়াত নেতা নয়। এরা সবাই টেরিবাজার ব্যবসায়ী। মূলত সমিতির দ্বন্ধে বর্তমান সভাপতি সম্পাদক গ্রুপ পুলিশকে জামায়াতের গোপন মিটিং বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে।
আটক হওয়া ব্যবসায়ী গ্রুপটি বর্তমান ব্যবসায়ী সমিতির পাল্টা একটি সিন্ডিকেট গ্রুপ করেছে। এর নাম দিয়েছে টি টুয়েন্টি গ্রুপ”। মূলত সে গ্রুপের সভা ছিল জামালখান কাচ্চি ডাইংয়ে। সেখানে পুলিশ হানা দিয়ে রাত ১১টায় সবাইকে থানায় নিয়ে যায়।