বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে চারদিন ধরে আটক হাট ইজারাদার অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। রবিবার পাঠক ডট নিউজসহ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ ইউএনও’র নির্দেশে ৪ দিন ধরে থানায় আটক ইজারাদার!’ সংবাদ প্রকাশে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের।
সংবাদ প্রকাশের পর রবিবার সন্ধ্যার দিকে হাট ইজারাদার মো. আবু তালেবকে মুক্তি দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা নিবার্হী কার্যালয়ে গোপনীয় সহকারী অশোক দস্তিদার।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন সরকারি টাকা জমা না দেয়ায়, আবু তালেবকে বারবার বলা স্বত্তেও তিনি কর্ণপাত করেননি। নিবার্হী স্যারের নির্দেশে আজ তার কাছ থেকে বকেয়া টাকা ৩০ জানুয়ারি পরিশোধের শর্তে লিখিত নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আবু তালেবের বড় ভাই মো. তৈয়ব জানান, রবিবার বিকেলে বকেয়া ১লক্ষ টাকা পরিশোধ ও বাকি টাকা এ মাসের মধ্যে পরিশোধের শর্তে লিখিত দিলে মুক্তি দেয় আবু তালেবকে। তবে আপনারারা সাংবাদিকরা লেখা লেখির কারণে আমার ভাইকে ছেড়ে দিয়েছে। এর আগে ৪ দিন ধরে অনেক চেষ্টার পরও ভাইকে ছাড়াতে পারিনি।
উল্লেখ্য গত বৃস্পতিবার (১২জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ইজারাদার মো. আবু তালেবকে থানা হাজতে আটকে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন তাহেরের স্ত্রী শাহেদা আকতার।
তিনি জানান, ১৪২৩ বাংলা সনের জন্য কধুরখীল চৌধুরী হাট ও আমুচিয়া ইউনিয়নের কালাইয়ার হাট ইজারা নেন ৮ লক্ষ ২০ হাজার দিয়ে। তবে ২লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা বকেয়া ছিল। এ টাকা দেয়ায় জন্য সময় চাইলেও নির্বাহী অফিসার কাজী মাহবুবুল আলম সময় না দিয়ে আবু তাহেরকে আটক করেন। পরে বোয়ালখালী থানার এস আই বেলাল আবু তাহেরকে আটক করে থানা হাজতে রাখে। ২৪ ঘন্টার বেশী থানা হাজতে কোন আসামী রাখার নিয়ম না থাকলেও কোন ধরণের সাজা ছাড়াই গত ৪দিন ধরে থানা হাজতে দিন কাটছে ব্যবসায়ি আবু তাহেরের।
জানা গেছে, গত মার্চ মাসে ৩ লক্ষ ৮হাজার ৭৫০ টাকায় কালাইয়ার হাট ইজারা পান কধুরখীল এমদাদ আলী বাড়ির মো. ইউচুপ মিয়ার ছেলে আবু তালেব (৫০)। এ ছাড়া একই মাসে কধুরখীল চৌধুরী হাটও ৫ লক্ষ ১২ হাজার ৪৯৮ টাকা ৭৫ পয়সায় ইজারা পান। এর ইজারা টাকা ধাপে ধাপের পরিশোধ করলেও কিছু টাকা এখনো বকেয়া রয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আজ রবিবার দুপুরে বোয়ালখালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.সালাহ উদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি পুরোপুরি অস্বিকার করে বলেন, ৪ দিন কাউকে থানায় আটক রাখার প্রশ্নই আসে না। এ নামের কাউকে আমরা আটক করিনি।
এদিকে এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মাহবুবুল আলমের মোবাইলে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।