পার্বত্য জেলা বান্দরবানের গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডার দিদারসহ ৯জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড় এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা ১২টায় বান্দরবান র্যাব কার্যালয় সংলগ্ন জেলা পরিষদ হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব।
এর আগে বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী পাহাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষক দিদার হোসেন, আল আমিন সর্দার, সাইনুন, তাহিয়াত চৌধুরী, মো: লোকমান মিয়া, মো: ইমরান হোসেন, মো: আমির হোসেন, আরিফুর রহমান ও শামিম মিয়া। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী রিভালবারসহ, দেশী অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও তাদের ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানকালে আরো ৫-৬জন সদস্য পালিয়ে যায়। অভিযানে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১,১১ ও ১৫যৌথ অভিযানে অংশ নেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা তাদের নিকটাত্মীয়, স্থানীয় পরিচিত ব্যাক্তিদের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্ধুদ্ধ হয়ে জঙ্গি সংগঠনে যোগদান করে বলে স্বীকার করেছে।

র্যাব আরো জানায়, এই পর্যন্ত পাহাড় ও সমতল এলাকা থেকে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৬৮জন বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য এবং কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর ১৭সদস্য গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যারা বিভিন্ন সময়ে পাহাড়ে আশ্রয় নিয়ে কেএনএফ এর প্রধান নাথান বমের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। ব্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ৩হাজার এবং হলি আর্টিজান হামলার পরবর্তী সময়ে প্রায় ২হাজার জঙ্গিকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।
প্রসঙ্গত, উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয় ১৯ জেলার ৫৫ তরুণ। এ তরুণদের অনেকেই পাহাড়ি এলাকায় আস্তানায় আশ্রয় নিয়েছিল। যাদেরকে পাহাড়ে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেয় কেএনএফ নামের একটি পাহাড়ি সন্ত্রাসীদল। বিষয়টি জানার পর গত বছর ১৭ অক্টোবর থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূল করতে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে অভিযানে নামে র্যাব ও সেনাবাহিনী।