ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সেন্টমার্টিনে হামলার প্রতিবাদে চবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবী

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চবি প্রতিনিধি:
সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে টেকনাফে ফেরার পথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার মহানগরীর জামালখানস্থ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে চারদফা দাবি পেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো – এই ঘটনার সাথে জড়িত জাহাজেট স্টাফ সন্ত্রাস বাহিনীকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজের লাইসেন্স আজীবনের জন্য বাতিল করতে হবে। বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজ কর্তৃপক্ষের মিথ্যা ও বানোয়াট স্টেটমেন্ট প্রত্যাহার পূর্বক লিখিত মুসলেকা দিয়া নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। জাহাজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জান-মালের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তার যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।

সেদিনের হামলার ঘটনা বর্ননা করতে গিয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান নওশাদ বলেন, আমরা সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার জন্য বে-ক্রুজ জাহাজের টিকেট কাটা সত্ত্বেও আমাদের সিটে কালোবাজারি স্টাফরা অন্যদের বসিয়ে দিয়েছে। আমরা সেটা বলতে গেলে আমাদের উপর চড়াও হয়। এমনকি শিক্ষকরা সমঝোতা করতে গেলে তারা শিক্ষকদের মারধর শুরু করে। দ্বিতীয় দফায় দমদমিয়া ঘাটে আাসার পরে স্থানীয় সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে আমাদের আক্রমণ করে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গুরুতর আহত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের উপর আক্রমন করা দেকেও বিজিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি আমাদের উপর আক্রমনকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজের লাইসেন্স আজীবনের জন্য বাতিল করতে হবে। যাতে করে এরকম নিন্দনীয় কাজের পুনরাবৃত্তি না ঘটতে পারে।

মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ফাতেমা আক্তার হিরামনি বলেন, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের ফুলেল বিদায় দেওয়ার জন্য বিভাগ থেকে সেন্টমার্টিন ঘুরতে নিয়ে গিয়েছি। কিন্তু দুষ্কৃতিকারীরা আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে শেষবেলার স্মৃতিকে কলুষিত করেছে।

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা সেন্টমার্টিন থেকে এমভি বে-ক্রুজ জাহাজের সিটিং টিকেট কাটে। টিকেট কাটা সিটে বসা নিয়ে ওরা ঝামেলার সৃষ্টি করে। ঘটনাটা তখনই সমাধান করা যেত। কিন্তু তারা তা না করে পরিকল্পিত ভাবে শিক্ষক-ছাত্রদের উপর আক্রমন করে। এর সাথে জাহাজ কর্তৃপক্ষ সরাসরি জড়িত। ট্যুরিস্ট পুলিশের নিরবতাও বলে দেয় তারা তাদের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। আমার শিক্ষার্থীরা মারধরের শিকার হওয়ায় বিজিবির সহায়তা চেয়েছে। কিন্তু তাদের থেকে সহায়তা পায়নি আমার শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, হামলায় জড়িতদের যতদিন শাস্তি না হয় ততদিন এমভি বে-ক্রুজ জাহাজ নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি আহত ছাত্রদের যথাযত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সেন্টমার্টিন থেকে অর্থনীতি বিভাগে স্নাতকোত্তর ব্যাচ ট্যূর শেষে বেক্রুজ-১ জাহাজে করে টেকনাফ ফিরছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি, টেকনাফ থেকে ফেরার সময় পথিমধ্যে আসনে বসাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা সৃষ্টি করে বে-ক্রুজ-১ জাহাজের স্টাফরা। প্রথমে তর্কতর্কির এক পর্যায়ে দুই শিক্ষকসহ ১০ জন শিক্ষার্থীর উপর লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমন করে জাহাজের স্টাফরা। পরে দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছানোর পর আবারও হামলা চালানো হয়। এতে ২জন শিক্ষক ও ১জন ছাত্রীসহ প্রায় ২০ এর অধিক আহত হয়। যার মধ্যে ১০ জন গুরুতর আহত হয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print