ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আজ ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে শুরু হওয়া অপারেশন সার্চলাইটের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরতাকে স্মরণ করতে শনিবার ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করবে বাংলাদেশ। জনগণের ইচ্ছাকে দমন করার শেষ উপায় হিসেবে পরিচিত এটি। ৯ মাসেরও কম সময়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গ্রহণকে ব্যর্থ করতে তাদের নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য ঢাকায় গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের আশ্রয় নেয়।

‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে আখ্যায়িত এই হামলায় পাকিস্তানি বাহিনী ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের বাঙালি সদস্য এবং পুলিশ, ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

তারা নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করেছে, বাড়িঘর ও সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট করেছে, ধ্বংসের চিহ্ন রেখে গেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে এবং পরবর্তীতে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার আগে রাতটি তার স্বাধীনতার ঘোষণার সাক্ষী ছিল।

২০১৭ সালের ১১ মার্চ সংসদ সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর থেকে দিনটি দেশে সপ্তমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণহত্যা দিবস পালন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ত্রিশ লাখ বাঙালির মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতি।

এটি তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদারদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক।

‘১৯৭১ সালের ভয়াবহ গণহত্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এ ধরনের গণহত্যা অন্য কোথাও ঘটবে না, এমন অঙ্গীকার বিশ্বব্যাপী গণহত্যা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হবে।’

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সেই সকল শহীদদের স্মরণ করেন যারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে তাদের জীবন উৎসর্গ করেন, যাদের তাজা রক্ত বীর বাঙালিদের অস্ত্র হাতে তুলে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।

তিনি বলেন, ‘আমরা ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছি। আমরা ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। যারা প্রতিবেশী মিয়ানমারে গণহত্যা থেকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে এসেছিল। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছি। আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্ত এবং সাম্যভিত্তিক সমাজ গড়তে দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

দিবসটি পালনে রাজনৈতিক দলগুলো কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

গণহত্যা নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে এবং জাতীয় দৈনিকগুলো দিবসটি উপলক্ষে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।

এদিকে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও দোয়া মাহফিল করবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print