চট্টগ্রামে পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন সময়ে চুরি যাওয়া ২৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোর চক্রের মূলহোতসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।জেলার সন্দ্বীপ সহ নগরীর কয়েক স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব মোটরসাইকেল উদ্ধার ও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ রবিবার (২৬ মার্চ) সকালে সিএমপির ডিসি দক্ষিণ বিভাগের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাতকানিয়ার দক্ষিণ তুলাতলী বণিক পাড়ার মিঠন ধর (২৯), সন্দ্বীপের গাছুয়া চুম মাঝির বাড়ির মো. বাবর (৩৫), কালাপানিয়া ফয়েত আলী হাজী বাড়ির মো. শাহেদ (২৬), জুরি ধরের বাড়ির মো. রিপন (৪০) ও লোহাগাড়ার আমিরাবাদ ইব্রাহীম সওদাগর বাড়ির মো. খোরশেদ আলম (২৯)।প্রেস ব্রিফিংয়ে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সম্প্রতি সময়ে নগরীতে মোটরসাইকেল চুরি বৃদ্ধি পাওয়ার পর সাড়াশি আভিযান শুরু করে।তার সূত্রধরে গতকাল শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন গ্রামীণ মাঠের রাস্তার ওপর থেকে চোর চক্রের মূল হোতা মিঠন ধর ও মো. বাবর প্রকাশ বাবুলকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ আটক করা হয়। পরবর্তীতে মিঠন ও বাবরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এসময় তারা সহযোগী মো. শাহেদ (২৬), মো. রিপন (৪০), মো. খোরশেদ আলম (২৯), মো. দিদার হোসেন (৩০), মো. নজরুল ইসলাম তাহের (৩০) এর সহায়তায় চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশ এলাকা থেকে চুরি করা মোটরসাইকেল সন্দ্বীপ-কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করার তথ্য দেয়।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, মিঠন ও বাবরের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২৫ মার্চ সন্দ্বীপ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শাহেদ ও রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের হেফাজত থেকে ২৩টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
অভিযান চলাকালে চোর চক্রের সদস্য মো. দিদার হোসেন (৩০) ও মো. নজরুল ইসলাম (৩০) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আসামি মিঠন ধরের তথ্য মোতাবেক চক্রের সদস্য খোরশেদ আলমকে কোতোয়ালী থানাধীন ব্রীজঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায় ঘটনায় আজ রবিবার (২৬ মার্চ) কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃত আসামিরা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
