
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, দেশে এখন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে সাধারন মানুষ দিশেহারা। সাধারন মানুষ খেতে পাচ্ছে না, কাজ নেই, চাকরি নেই। আর এ কথা মানুষ বলতে পারবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নাই। অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে গেলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা নামক কালো আইনে মামলা ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সত্য কথা বলা সাংবাদিকরা মামলা ও হামলার ভয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।’ জনগনের পক্ষে সাংবাদিকরা লিখতে পারবেন না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, কি ভয়ংকর ব্যাপার। জনগণকে ভয় দেখিয়ে ঘরে রাখতে চাচ্ছে। আর সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে তাদের লেখার ও বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চাচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী সরকারের কাছে গণতান্ত্রিক কিছু আশা করা যায় না। সময় এসেছে ভয়কে জয় করে রাজপথে নেমে আসার। অন্যথায় এই অবৈধ ফ্যাসিষ্ট সরকারের রোষানল কেউ রেহাই পাবে না।
তিনি আজ শনিবার, ৮ এপ্রিল বিকালে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন মাঠে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে ও ঘোষিত ১০, দফা বাস্তবায়নে দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত চট্টগ্রাম কোতোয়োলী থানা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামের কালো আইন প্রণয়ন ও অপ্রয়োগ করে যাচ্ছে। এ আইনে বিএনপি, বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করছে যে, তারা গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য মাটিচাপা দিতে চান। এই ফ্যাসিষ্ট সরকার থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।
কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনি. যুগ্ম সম্পাদক আলি মর্তুজা খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুল মন্নান, সদস্য হারুন জামান, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক জেলী চৌধুরী, নগর বিএনপি নেতা হামিদ হোসেন, হাজী নুরুল আকতার, আবদুল বাতেন, সালাউদ্দিন লাতু, ইউসুফ সিকদার, থানা বিএনপির সিনি. সহ সভাপতি ফরিদ আহমদ, আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম,এড. ইমতিয়াজ উদ্দিন তারেক, জসিম উাদ্দন, এম এ হাশেম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মফিজ উল্লাহ, আকতার খান, আলি আব্বাস খান, আলাউদ্দিন আলী নূর, সাধারন সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, সৈয়দ আবুল বসর, সাব্বির আহম্মদ, জসিম মিয়া,দিদারুল ইসলাম, মহানগর তাঁতী দলের আহবায়ক মনিরুজ্জমান টিটু, মৎসজীবী দলের আহবায়ক হাজী নুরুল হক, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, মো. সেলিম, মোশারফ হোসেন, এরশাদ হোসেন, মো. হারুন, ইদ্রিস আলাম, আলাউদ্দিন, আমিন উল্লাহ, রাশেল নিজাম, মো. নওশাদ, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, সালাউদ্দিন, মো. হাসান, আবদুল জলিল, এন মোহাম্মদ রিমন, আবদুল্লাহ আল সোনা মানিক, আবু সালেহ আবিদ, ইয়াকুব আলী জুয়েল, আজিজুল হক সানি, সাইদুল ইসলাম ফয়সাল প্রমূখ।