ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ফটিকছড়িতে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলনে ঢুকে সাংবাদিকদের শাসালেন আওয়ামীলীগ নেতা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

জেলার ফটিকছড়িতে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের হয়রানির শিকার এক ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলনে ঢুকে গনমাধ্যম কর্মীদেরকে শাসিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী ও নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এক জাহেদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল বিকাল তিনটায় উপজেলা সদরের বাসমতি রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও পাঠক ডট নিউজের হাতে এসেছে।

উপজেলা আওয়মীলীগের সেক্রেটারি নাজিম মুহুরী সাংবাদিকদের শিকড় কোথায় তা এক সপ্তাহের মধ্যে দেখে নেবেন বলে শাসিয়ে যান। আর নাজিরহাট পৌর মেয়র একে জাহেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। যার ভিডিও রেকর্ড সংরক্ষিত আছে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সময়ে নাজিম উদ্দিন মুহুরীর নেতৃত্বে সেলিম সরকারসহ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের একটি গ্রুপ সেখানে হানা দিয়ে ব্যানার ছিড়ে ফেলাসহ সাংবাদিকদেরকে নানা অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে।

.

এসময় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনকারী ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী ডা. মজনুকেও শাসিয়ে যান এ আওয়ামীলীগ নেতা। উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের মেম্বার জানে আলমসহ ১০/১২ জন সরকার দলীয় কর্মী গনমাধ্যম কর্মীদের উপর চড়াওহন। এক পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করতে চাইলে উপস্থিত গনমাধ্যমকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন তারা।  এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরীও গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।

বলেন, সংবাদ সম্মেলন করতে হলে তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা আর চরম হট্টগোলের কারণে প্রায় এক ঘন্টা বিলম্বে পূনরায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে একটি সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সময়ে সরকারী দলের উপজেলা পর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল নেতার নেতৃত্বে এমন অচরনে হতবাক স্থানীয় এবং চট্টগ্রাম থেকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা।

সংবাদ সম্মেলনে জোর পূর্বক ঢুকে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী কথিত আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম সরকারের বিরুদ্ধেই চাঁদাবাজি ও অপহরনের চেষ্টার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার হেয়াকোঁ বাজারের ব্যবসায়ী মহিমুজ্জামান মজনু।

সেলিম সরকারের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের কর্তৃক অপহরন চেষ্টা, হুমকি ও চাঁদা হয়রানিতে অতিষ্ঠ এ ভুক্তভোগি এক ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন উপজেলার হেয়াকোঁ বাজারের ব্যবসায়ী ডা.মহিমুজ্জামান মজনু। এসময় তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলন করতে এসেও হামলা এবং বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে করে তাঁর জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম শংকাপ্রকাশ করেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা.মজনু বলেন, হেয়াকোঁ বাজারে পল্লি চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে ঔষধ ব্যবসা ও বীমা ব্যবসাসহ জায়গা জমি ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা করে আসছেন তিনি। মজনু বলেন ব্যবসায়িক জীবনের সফলতা দেখে স্থানীয় সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের প্রধান সেলিম সরকারের গা জ্বালা শুরু হয়ে যায়। কিছুদিন পূর্বে একটি জায়গা ক্রয় করার জন্য জায়গার প্রকৃত মালিকের সাথে আলোচনা করে মৌখিক ভাবে জায়গা ক্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করি। সেলিম সরকার গং বিষয়টি জানতে পেরে গত বেশ কিছুদিন যাবত জায়গাটি ক্রয় করতে হলে তাদেরকে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি প্রদান করে।

তাদের এমন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১ এপ্রিল রাত অনুমান ৮টার দিকে সেলিমসরকার গং দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মজনুর ব্যবসায়কি অফিসে গিয়ে তাঁকে খোঁজতে থাকে। সেখানে না পেয়ে রাত অনুমান সাড়ে ১০ টার দিকে নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হলে সেলিম সরকারের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ পথরোধ করে চার লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সেলিম সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড মাথায় আঘাত করতে থাকে। এসময় রফিকুল ইসলাম নামের আরেকজন তার হাতে থাকা কাঠের লাঠি দ্বারা এলোপাতাড়ি আঘাত করে।

এসময় ১ টি স্মার্টফোন ও নগদ সাড়ে পাঁচ হাজার ছিনিয়ে নেয় । পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে যাওয়ার সময় চাঁদার ৪ লক্ষ টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দিবেনা এবং এ ঘটনায় কোন প্রকার মামলা মোকদ্দমা করলে হত্যার পর লাশ গুম করার হুমকি প্রদান করে।

এর পর গত ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে সেলিম সরকার ও তার ছোট ভাই ছাত্রলীগ নেতা হানিফ সরকারের নেতৃত্বে তার পোষ্য চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের ক্যাডারদের নিয়ে ডা.মজনুকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে । এসময় তিনি স্থানীয় দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ফোন দিলে তাৎক্ষনিক পুলিশ উপস্থিত হওয়ায় হামলাকারীরা সটকে পড়ে। বর্তমানে সেলিম সরকার গং নানাভাবে হুমকি প্রদানসহ অপহরন করার পরিকল্পনা করছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করি যা বর্তমানে ট্যুরিষ্ট পুলিশের হাতে তদন্তাধীন আছে।

ডা. মজনু বলেন বর্তমানে তাঁর পুরো পরিবার আতংকিত হয়ে উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছে। তাদের অব্যাহত হুমকির কারণে রীতিমত দৈনন্দিন ব্যবসায়ীক কর্মকান্ডও পরিচালনা করতে পারছেননা তিনি। সেলিম সরকার গংদের এহেন কর্মকান্ডে এলাকার অনেক ব্যবসায়ী ও প্রবাসী পরিবার এখন সর্বশান্ত। তিনি এ বিষয়ে প্রাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাজিম উদ্দিন মুহরীর বলেন, আমি ঘটনা জানার জন্য অন্য একজন সাংবাদিকের মোবাইল থেকে মুসার সাথে কথা বলেছি।  তখন সাংবাদিক মুছা আমার সাথে রুঢ ব্যবহার করে।  বিষয়টি জানতে আমি সংবাদ সম্মেলনে গিয়েছি।  সংবাদ সম্মেলন কারা করছে কেন করছে সেটা আমার বিষয় ছিল না।  পরে মুছা আমাকে জড়িয়ে ধরে তার ভুল হয়েছে বলে দু:খ প্রকাশ করেছে। আমাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সমাধান হয়েছে।

এক প্রশ্নে জবাবে জনাব মুহরী বলেন, কেউ মুছার উপর হামলা বা গালাগালি করে নাই। আমার সাথে থাকা নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হলে আমি তাদের থামিয়ে দিয়েছি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print