
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হেফাজত নেতাদের মুক্তির বিষয়টি কোর্ট জানে। তাদের জামিন দেয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে সুপারিশ করেছি। মেক্সিমাম জামিন হয়ে গেছে, আর যেগুলি আছে সেগুলি আশা করি হয়ে যাবে।
তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ দারুল উলুম মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে বিয়ের আগে হেফাজত নেতাদের মুক্তির দাবির বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
হেফাজতের সাথে বর্তমান সরকারের সম্পর্ক কেমন সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমাদের সাথে কারো বৈরি সম্পর্ক নেই, সবার সাথে আমারা সুসম্পর্ক নিয়ে চলি। হেফাজত একটি ইসলামিক চিন্তা চেতনার দল, চিন্তা এবং ইসলামী বিস্তার নিয়ে তারা কাজ করছে।। আমরা এদেশের ৯০% মুসলমান, কাজেই তাদেরকে আমরা সবসময় মনে করি তাদের যে চিন্তা-কার্যকলাপ ও দ্বীন ইসলাম প্রচারের সহায়তা করছি।
এর আগে বিকেলে মন্ত্রী হাটহাজারী মাদ্রাসায় পৌছে প্রথমে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির কবর জিয়ারত করেন। পরে মন্ত্রী মাদ্রাসার মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভায় অংশ নেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, কারাবন্দী হেফাজত নেতাদের মুক্তির জন্য যে তালিকা হেফাজত নেতারা দিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই মুক্তি পেয়েছে। বাকিরাও ক্রমান্বয়ে মুক্তি পাবে।
আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা কোন নির্বাচনী সফর নয়। আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাতে যাচ্ছি। আমার অনেক দিন ধরে ইচ্ছা ছিল হেফাজতের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির কবর জিয়ারত করব। সে উদ্দেশ্যেই আমি হাটহাজারী মাদ্রাসায় এসেছি।
হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে এবং মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক মুফতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মন্ত্রী ও হাটহাজারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাতকানিয়া আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন নদভী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, ডিআইজি এসবি মোঃ নাফিউল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহসহ, জেলা ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন, হাটহাজারী মাদরাসার মুফতি কেফায়েত উল্লাহ, মাওলানা আহমদ দিদার কাসেমী প্রমুখ।