ভারতের বিহারে চোলাই মদ পানে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৩ জন। এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। কিন্তু বিহার সরকার ২০১৬ সাল থেকে ওই রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করেছে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর, পাহাড়পুর ও মতিহারীর হরসিদ্ধি এলাকায় এসব মৃত্যু ও অসুস্থতার ঘটনা ঘটেছে। বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে এই স্থানগুলো অবস্থিত। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে এই ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী করা হচ্ছে।
এদিকে, সম্প্রতি বিহারের সারন জেলায় বিষাক্ত মদ পানে ৪০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার সুরক্ষা কমিশন। এ সময় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এদিকে, উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব জানিয়েছিলেন, সরকারকে অপদস্থ করার জন্যই ওই প্যানেল বিহারে এসেছিল।
এদিকে, মৃত্যুর মিছিল এবং বিরোধীদের একের পর এক অভিযোগের কারণে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কার্যত মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। তিনি বিরোধী দলকে পাল্টা আক্রমণ করেন। সেই সময় নীতীশ কুমার বলেছিলেন, ‘কেউ মদ্যপান করলে সে মারা যাবে। সেই উদাহরণ আমাদের সামনে আছে। আমাদের সেই জায়গাগুলোতে যেতে হবে। তাদের ব্যাখ্যা করা দরকার।’
তিনি বিধানসভায় আরও জানান, বিহারে যখন মদ নিষিদ্ধ ছিল না, তখনও বিষাক্ত মদ খেয়ে মানুষ মারা যেত। জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। এখানে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ। অ্যালকোহল একটি খারাপ জিনিস। এটি মানুষকে হত্যা করতে পারে।