
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলী খেলার (কুস্তি প্রতিযোগিতা) ১১৪তম আসর বসেছে আজ মঙ্গলবার।
এ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা রকম পণ্যের পসরা নিয়ে এসেছেন ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা। মেলায় মাটির তৈরি তৈজসপত্র, বাঁশের, বেতের আসবাবপত্র, গাছের চারা, ফুলের ঝাড়–, হাত পাখা, মুড়ি-মুড়কি, পাটি, দা, বটি, ছুরিসহ নানা ধরনের গৃহস্থালি ও লোকজ বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বলি খেলা তথা কুস্তি প্রতিযোগিতায় আংশ নিবে সারা দেশের শতাধিক কুস্তিগীর। লালদীঘি ময়দানে ইতোমধ্যে বলী খেলার জন্য বালু দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

জানাগেছে, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যুবসমাজকে উজ্জীবিত করতে বদরপতি এলাকার ব্যবসায়ী মরহুম আবদুল জব্বার সওদাগর ১৯০৯ সালে এ কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। যা সময়ের পরিক্রমায় জব্বারের বলী খেলা নামে পরিচিত। সেই থেকে প্রতি বছর ১২ বৈশাখ এবং ২৫ এপ্রিল এ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
বলী খেলার একদিন আগে ও পরে তিন দিন ধরে লালদীঘির পাড়সহ আশপাশ এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে বসে মেলা। এ মেলায় গৃহস্থালি পণ্য থেকে শুরু করে নানা পণ্যের পসরা বসে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘ইতিহাস-ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছর ১২ বৈশাখ জব্বারের বলিখেলা হয়। এই বলিখেলা শুধু খেলা নয়, এটি বাঙ্গালি সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। সারাবিশ্বে এই বলিখেলাকে ছড়িয়ে দিতে আমরা একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি করব। জব্বারের বলিখেলাকে বিশ্বদরবারে সুপরিচিত করতে ‘আব্দুল জব্বার স্মৃতি বলি প্রশিক্ষণ একাডেমি’করার কথা জানান মেয়র।