চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ-চান্দগাঁও) আসনের উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ১৯০টি কেন্দ্রের ১৪১৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। তবে এ ভোটে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার থাকছে না।
ভোট গ্রহণের সরঞ্জাম কেন্দ্রে পাঠানোসহ সব ধরনেরর প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। সাধারণ কেন্দ্রে আইন- শৃঙখলা বাহিনীর ১৬ থেকে ১৭জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে উপ-নির্বাচন উপলক্ষে লাইসেন্সধারীদের অস্ত্র প্রদর্শন ও বহন নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) থেকে শনিবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত লাইসেন্সধারীরা যেন অস্ত্রসহ চলাচল না করেন সে কারণে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উপ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বৈধ অস্ত্রের প্রদর্শন ও বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক পরিপত্র জারি করে সম্প্রতি জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে ইতিমধ্যে মাঠে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি মাঠে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতের জন্য নিয়োজিত রয়েছে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। তারা ভোটের দুদিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
এই আসনের নির্বাচনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ (নৌকা), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মাদ ফরিদ উদ্দিন (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদ (মোমবাতি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপির কামাল পাশা (আম), স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর মো. রমজান আলী (একতারা)।
চট্টগ্রাম-৮ আসনটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং শ্রীপুর ও খরনদ্বীপ ইউনিয়ন ব্যতীত বোয়ালখালী উপজেলা। এই আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ ও নারী ২ লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন।
এর আগে মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।