ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সিএমপি’র বির্তকিত ওসি মাঈনুল ফের আলোচনায়

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

 

ওসি মাঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া।

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানা থেকে প্রত্যাহার ও সদরঘাট থানা থেকে অপসারণের পর এবার গেস্ট হাউজ বানিয়ে মাদক ও দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আবার আলোচনায় এসেছেন বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা মাঈনুল ইসলাম ভুঁইয়া।

পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সর্বত্র তোলপাড় চলছে। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তাসহ অনেকে।

জানাগেছে ওসি মাঈনুলের সাথে এ দেহ ব্যবসাায় পার্টনার হিসেবে জড়ির রয়েছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা, যিনি একজন ওয়ার্ড কাউন্সিল ও ভুমিদস্য হিসেবে পরিচিত। জড়িত আছে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা।

সিএমপির খুলশী থানা সন্নিকটে এবং ভারতীয় সহকারী দুতাবাসের লাগোয়া ভবনটিতে দীর্ঘদিন ধরে এ দেহবাণিজ্যের আখড়া গড়ে উঠলেও খুলশী থানা পুলিশ কখনো অভিযান চালায়নি।

সুত্রমতে খুলশীর ওসি নিজামের সহযোগিতায় এ গেস্ট হাউজে চলে আসছিল। আটকদের মধ্যে গেস্ট হাউজের একজন কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে স্বীকার করেছে, এখানে সমাজের উচ্চ শ্রেণীর লোকজন ছাড়াও নিয়মিত যাতায়াত ছিল প্রশাসনে অনেক কর্মকর্তারা। এবং ওসি নিজাম নিয়োমিত সেখানে যাতায়াত ছিল।

এব্যাপারে ওসি নিজামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করে ফোন েলাইন কেটে দেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের শেষের দিকে হালিশহর থানার ওসি থেকে বদলি হয়ে খুলশী থানায় আসেন মাঈনুল ইসলাম ভুঁইয়া। গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় ১৩ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন হিরণের পক্ষ হয়ে কাজ করাসহ নানা অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের আদেশে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর তিনি নগরীর সদরঘাট থানার ওসি হিসেবে যোগদান করে।

সদরঘাট থানায় ওসি থাকাকালীন ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ায় আল ইসলামিয়া হোটেলে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম জিল্লুকে মারধর করে তার স্ত্রীকে লঞ্চিত করেন। এঘটনায় তাৎক্ষণিক থানায় হামলা চালিয়ে ব্যপাক ভাঙচুর চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ছাত্রলীগের আন্দোলনের মুখে ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করে দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মোহা.আব্দুল জলিল মন্ডল।

সর্বশেষ গতকাল বুধবার নগরীর খুলশী থানার হাবিব লেইনের ওসির মাঈদুল ইসলামের ‘ইয়ারা গেস্ট হাউজে’ অভিযান চালায় জেলা প্রশাকের ভ্রাম্যমান আদালত সেখান থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় ১৫ জনকে আটক করা হয়।

এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান পাঠক ডট নিউজকে জানান, খুলশীর হাবিব লেনের ‘ইয়ারা গেস্ট হাউজ’ মাদক, দেহব্যবসা চলে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে। এটি মালিক সিএমপির সদরঘাট থানার বহিস্কৃত সাবেক ওসি মাইনুল । এ গেস্ট হাউজ থেকে  বিদেশী, পিস ইয়াবা, ইয়াবা ও সীসা সেবনের সরঞ্জাম এবং প্রায় দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। ইয়াবা ব্যবসা, সেবন ও অসামাজিক কার্যাক্রমের সাথে জড়িত ১১ তরুণীসহ জন্য ২৬ জনকে আটক করা হয়। পরে তরুণীদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও বাকি ১৫ পুরুষকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সহকারি পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, ওসি মাঈদুল ইসলাম বর্তমানে কোন দায়িত্বে নেই। ‘ইয়ারা গেস্ট হাউজ’এর মালিক তিনি কিনা আমার জানা নেই। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা অনৈতিক কাজে জড়িত থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print