
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকারে ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণে চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের মোহাম্মদ ফারদিন আরাফাত স্বাধীন (২২) নিহত হওয়ার ৪ দিনের মাথায় তার পিতা জাহাজের চীফ ড্রাইভার কুতুবউদ্দিনও মারা গেছেন।
গতকাল রবিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (বার্ণ ইউনিট) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত কুতুবউদ্দিন সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের নিউ রাজাপুর গ্রামের মৃত ছালে আহমদের পুত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম।
গত ১১ মে (বৃহস্পতিবার) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করে রাখা এমটি ইবাদি-১ জাহাজের তেলবাহী ট্যাংকারে ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে মো. বাবুল কান্তি দাস (৬৪) ও স্বাধীন (২২) দুই জন মারা যায়।
আহত ড্রাইভার কুতুবউদ্দিন (৪৮), ড্রাইভার মো. রুবেল হোসেন (৪৫) ও গ্রিজারম্যান কামাল পাশাকে (৫০) উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে
জানা যায়, জাহাজটি চট্রগ্রাম থেকে সাড়ে তিন লাখ লিটার পেট্রোল ও ১০ লাখ লিটার ডিজেল নিয়ে দুইদিন আগে বরিশালে যায়। বরিশালের মেঘনা তেলের ডিপোতে এই তেল (বৃহস্পতিবার) খালাশ করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী স্টাফরা ইঞ্জিন রুমে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। এঘটনায় কুতুবউদ্দিন আহত হলেও তার ছেলে স্বাধীন ঘটনাস্থলে মারা যান। কুতুবউদ্দিনকে ঢাকার বার্ণ ইউনিট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৪ দিনপর রবিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
কুতুবউদ্দিন ওই জাহাজের চীপ ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছেলে স্বাধীন ওই জাহাজে করে পিতার সাথে বেড়াতে যায়। এদিকে ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় পিতার মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।