t পাহাড়তলীতে তুচ্ছ ঘটনায় আজাদ খুন, ৪ আসামী গ্রেপ্তার – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পাহাড়তলীতে তুচ্ছ ঘটনায় আজাদ খুন, ৪ আসামী গ্রেপ্তার

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

আজাদের খুনি চক্র।

নগরীর পাহাড়তলী থানার নয়াবাজার বিশ্বরোড় এলাকায় চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের উপর্যপুরিছুরিকাঘাতে স্থানীয় যুবক আজাদুর রহমান প্রকাশশ মো. আজাদ হত্যার ১৫ ঘন্টার মাথায় মামলার অন্যতম আসামী আবু তাহের রাজীব সহ ৪ আসামীকে রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭ এর একটি টিম।

গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্য আসামীরা হল-দেলোয়ার হোসেন জয় পিতা-পিতা-মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ রায়হান সজীব (২২), পিতা- মোঃ ইব্রাহিম ও আবুল হাসনাত রানা (৩০), পিতা-আবুল হাসেম। এদের মধ্যে প্রথম ৩ জননকে রাঙামাটির কোতোয়ালী থানার একটি আবাসিক হোটেল ও আবুল হাসনাত রানাকে নগরীর কদমতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো.নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা এলাকার ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির পালিত ক্যাডার বলে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন নিশ্চিত হয়েছে।

.

জানাগেছে, গতকাল ২৮ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় অজ্ঞাতনামা একব্যক্তি চট্টগ্রাম মহানগরীর নয়াবাজার এলাকার একটি কারখানার গেইটের সামনে প্রশ্রাব করলে কারখানার নৈশ প্রহরী ভিকটিম আজাদের এর বড় ভাই মফিজ (৪০) তাকে বাধা প্রদান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত ব্যক্তি নৈশ প্রহরী মফিজকে বলে, ‘এটা সরকারী জায়গা তুই বাধা দেওয়ার কে’ এই বলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসামী আবু তাহের রাজীব, ওসমান, আবুল হাসান, এবং কতিপয় অজ্ঞাতনামা আসামীরা উক্ত জায়গায় এসে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। বড় ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটির শব্দ শুনে ছোটভাই আজাদুর রহমান ঘটনাস্থলে গেলে তার সাথেও কথা কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরবর্তীতে আসামীরা দেখে নিবে বলে হুমকি প্রদান করে স্থান ত্যাগ করে।

পরদিদন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আজাদুর রহমান দোকান হতে নাস্তা আনার জন্য বাসা হতে বের হয়। পথিমধ্যে পাহাড়তলী থানাধীন নয়াবাজার পৌছালে পূর্ব হতে উৎপেতে থাকা আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে একা পেয়ে এলাপাথাড়ীভাবে পেটে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। ছুড়িকাঘাতের ফলে আজাদের পেটের ভুরি বের হয়ে যায়। ভিকটিমের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত আজাদের স্ত্রী বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় ৪ জনকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরপরই

সহকারী পরিচালক মো.নুরুল আবছার জানান, পালিয়ে যাওয়া আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, এ হত্যাাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কয়েকজন আসামী রাঙ্গামাটি জেলার কোতয়ালী থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল আজ সোমবার রাঙামাটির ওই স্থানে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করে মামলা দায়েরের ১৫ ঘন্টার মধ্যে আসামী রাজিব, দেলোয়ার ও রায়হান সসজিবকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে আবুল হাসনাত রানাকে নগরীর কদমতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা আজাদ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে বলে র‌্যাব জানায়।

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print