
চট্টগ্রাম মহানগরীর সল্টগোলা রেলক্রসিং এলাকায় তেলবাহী একটি ওয়াগনের সাথে লরির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে রেললাইনের দুই পাশে প্রচুর গাড়ি আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১২টা টার পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলছিল বলে জানা গেছে।
নিহত ব্যাক্তির নাম মোয়াজ্জেম হোসেন লাভলু (৩৮)। তিনি নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ির মাঝিরঘাট এলাকার মৃত আবুল মিয়ার ছেলে।
ঘটনাস্থলে থাকা বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল হক জানান, এখন পর্যন্ত লরির নিচ থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও হতাহত থাকতে পারে। কারো নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চিটাগাং গুডস পোর্ট ইয়ার্ডের (সিজিপিওয়াই) মাস্টার আব্দুল মালেক বলেন, তেলবাহী ওয়াগনটি পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ডিপো থেকে ইয়ার্ডে আসছিল। এটি সল্টঘোলা ক্রসিং পার হওয়ার সময় দুই দিকে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ একটি গ্যাসবাহী লরি রেললাইনে ওঠে যায়। এতে ওয়াগনের ইঞ্জিনের সঙ্গে লরির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এটি উদ্ধার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় লরির একজন মারা গেছে। তার পরিচয় জানা যায়নি।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক মোহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান বলেন, নগরের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় একটি তেলবাহী ওয়াগনের ইঞ্জিনের সঙ্গে গ্যাস ভর্তি লরির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গ্যাস সবদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রায়হান আশরাফ ‘কেমিক্যালবাহী লরিটি বন্দর থেকে বের হওয়ার সময় সল্টগোলা ক্রসিং মোড় এলাকায় ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে তেলবাহী ট্রেনের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন্দর ও ইপিজেড ফায়ার স্টেশনের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে। সংঘর্ষের ফলে লরির ওপরে থাকা ক্যামিক্যাল ট্যাংকার বাঁ দিকে কাত হয়ে পড়েছে।’
‘আমরা একটি হেলমেট ও মোটরসাইকেল নিচে দেখতে পাচ্ছি। আশঙ্কা করছি নিচে লোক থাকতে পারে। আমাদের কাছে উদ্ধার কাজের জন্য ভারী সরঞ্জাম না থাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষের ক্রেন আসার অপেক্ষা করছি। তারপর আমরা উদ্ধার কাজ চালাতে পারবো। এরইমধ্যে লরির ট্যাংকার থেকে কেমিক্যাল রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে।’ যোগ করেন তিনি। ‘ঘটনার পরপরই তারা পালিয়েছে।