
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাফিজ জুট মিলস কলোনীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক বিভিন্ন দোকানপাট এবং ভাড়াঘর পুড়ে অন্তত ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের ৩টি গাড়ি আড়াইঘন্টা চেষ্টার রাত পৌনে ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসেনি বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম।

ফলে ফায়ার সার্ভিস প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি কত হয়েছে তা জানাতে পারেনি। তবে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ্ ব্যবসায়িদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, আড়াইঘন্টা ব্যাপী এ অগ্নিকাণ্ডে হাফিজ জুট মিলস কলোনীতে ৪০টি বিভিন্ন দোকান ও ১১৫ কক্ষের ভাড়াঘর পুড়ে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের কুমিরা ও সীতাকুণ্ড স্টেশন থেকে তিনটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌছে ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। রাত ৯টা বাজে এখন ফায়ারম্যানরা ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসেনি। তারা সেখানে ডাম্পিং এর কাজ করছে। তাই এ মূহুর্তে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় সুত্র জানায়, আগুন লাগার সঠিক সূত্র জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে হারুনের মালিকানাধীন একটি খালি বস্তার দোকান থেকে এই আগুন লাগার সূত্রপাত।প্রথমে হাফিজ জুট মিলের ফায়ার সার্ভিস পরে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

আগুনে পুড়ে গেছে স্থানীয় নেজাম উদ্দিন খাঁন ও আযম উদ্দিন খাঁনের মালিকানাধীন নিজেদের বসতঘরসহ ১১৫ টি পাকা আধা পাকা ঘর এবং চায়ের দোকান,পানের দোকান, ট্রেইলার, মোবাইল দোকানসহ ছোট বড় প্রায় ৪০ বিভিন্ন দোকান সম্পন্ন পুড়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ি ডাক্তার আলাউদ্দিন জানান, কলোনীর মাটিয়া মসজিদ এবং আহমদ আলী ওয়াকফ মালিকানাধীন দোকানে আগুন লাগে। আগুনের টেইলার, মুদি, স্টেশনারী, সেলুন, মোবাইল লোড, চায়ের দোকানসহ অন্তত শতাধিক স্থাপনা পুড়ে গেছে। এতে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাফিজ জুট মিলের কলোনীটি ঘনবসতি হওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয়েছে।