
রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি:
প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সপরিবারে বিদেশে পালিয়ে যাবার সময় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন ইয়াকুব হোসেন মাসুদ নামে রাঙামাটির এক যুবক।
গতকাল শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তা রাঙামাটি কোতয়ালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, ইয়াকুব হোসেন মাসুদ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ছদ্মবেশে একাধিক পাসপোট নিয়ে বিদেশে পালিয়ে ছিলো এবং সম্প্রতি সে দেশে এসে তার স্ত্রী-সন্তানদের সাথে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া যাওয়ার সময় তাকে ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তা নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুল আমিন জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত ইয়াকুব হোসেন মাসুদের বিরুদ্ধে ৬টি সিআর মামলার বিভিন্ন মেয়াদে সাজাসহ আরো তিনটি সিআর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিলো। মাসুদ ঢাকায় একাধিক ব্যক্তির নিকট কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। যাহার প্রেক্ষিতে আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন আদালতে চেক জালিয়াতির একাধিক মামলা হয় এবং বিচার শেষে বিজ্ঞ আদালত ৬ টি সাজা পরোয়ানা সহ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। তথ্য প্রযুক্তি এবং জেলা সাইবার ইউনিটের সহায়তায় জানা যায়, ধূর্ত আসামি পরোয়ানা জারির পর আত্মগোপনে থাকিয়া কৌশলে প্রায় ১০ বৎসর পুর্বে বিদেশে (দুবাই) পালিয়ে যায়। মাঝে মধ্যে বিদেশ থেকে দেশে আসা-যাওয়া করে এবং বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করে একাধিক বার পাসপোট গ্রহণ করে।
টিম কোতোয়ালি আসামির তিনটি পাসপোট নাম্বার, জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্মনিবন্ধন কপি সংগ্রহ করে আসামিকে গ্রেপ্তারের করার লক্ষ্যে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করা হয়। পুলিশ সুপার আসামির বিদেশ গমনা-গমনরোধসহ আটক এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন), ঢাকা বরাবরে অনুরোধ করেন।
এর প্রেক্ষিতে ২৩ জুন আসামি ইয়াকুব হোসাইন মাসুদ স্ব-পরিবারে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে রাঙামাটির কোতোয়ালি পুলিশ ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন হতে আসামিকে উল্লেখিত পরোয়ানামুলে গ্রেপ্তার করে রাঙামাটিতে নিয়ে আসে।
কোতয়ালী থানার ওসি জানিয়েছেন, আসামির বিরুদ্ধে সিআর-৬৭৪/১৪, সিআর-৬৭৫/১৪, সিআর-৬৭৬/১৪, সিআর-৬৭৭/১৪, সিআর-৬৭৮/১৪, সিআর-৬৭৯/১৪ ইং মামলার সাজা পরোয়ানা সহ আরও তিনটি সিআর পরোয়ানা মুলে আসামিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।