ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

শৈলকুপায় কাঁচা মরিচের কেজি ১০০০, খুলনায় ১২০০ টাকা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ঈদের আগে থেকে এখন পর্যন্ত কাঁচা বাজারে সব থেকে দামি পণ্য কাঁচামরিচ। রান্নার কাজে ব্যবহৃত এই নিত্যপণ্যটি পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি কোথাও ১০০০ টাকা, কোথাও ১২০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

শৈলকূপা উপজেলার হাট বাজারে কাঁচামরিচের দাম আকাশ ছোঁয়া। প্রতিকেজি মরিচ ৯শ থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শনিবার শৈলকূপা হাটে যেয়ে দেখা গেছে কাঁচা মরিচের ব্যাপক সংকট। ব্যবসায়িকদের সাথে কথা বল জানা গেছে কৃষকরা বৃষ্টির কারণে ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে পারেনি। সেই কারণে ঈদের আগে থেকেই মরিচের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে বাজারে কাঁচা মরিচের তীব্র সংকট। মরিচ ব্যবসায়ি কামাল হোসেন জানান, বগুড়া জেলাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে শৈলকুপায় কাঁচা মরিচ আসত কিন্তু সেখান থেকে মরিচ আসছে না যে কারণে মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে কাঁচা মরিচের দাম বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে জনসাধারণের। তারা কাঁচা মরিচের পরিবর্তে বাজার থেকে শুকনো মরিচ কেনার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। কাঁচা বাজার করতে আসা জাহিদ নামের এক ব্যক্তি বলেন ১শ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনলাম ১শটাকা দিয়ে যা আমার জীবনে নজীরবিহীন।
এ ব্যাপারে শৈলকূপা উপজেলার হাট ফাজিল পুর গ্রামের মরিচ চাষি বকুল জানান, বৃষ্টি না থাকার কারণে গাছ শুকিয়ে গেছে আবার অনেক গাছ মরে গেছে খরায়। যে কারণে মরিচ গাছে মরিচ নেই। তবে নতুন করে গাছে মরিচ ধরছে তাড়াতাড়িই বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে যাবে।

এদিকে খুলনায় প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শনিবার (১ জুলাই) খুলনার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার সোনাডাঙ্গা ট্রাক স্ট্যান্ড পাইকারি বাজার, খুচরা নিরালা বাজার এবং গল্লামারী বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতাদের দাবি, সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে সান্ত্বনা হিসেবে ক্রেতাদের ‘খোঁড়া’ যুক্তি দিচ্ছেন বিক্রেতারা। এটা সব সময়ের পুরনো যুক্তি ‘জোগান কম’। এবার তার সঙ্গে যুক্ত করেছেন অতিবৃষ্টি।

ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, বর্ষা মৌসুমে পানির কারণে মরিচের গাছ মরে গেছে। ফলে প্রতি বছর এই সময়ে কাঁচা মরিচের দাম একটু বৃদ্ধি পায়। তবে এত বেশি দাম এর আগে কখনো দেখেননি ক্রেতারা।

গল্লামারী বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মামুন বলেন, ১৩ দিন আগেও যে মরিচের দাম ছিল ১২৯ থেকে ১৬০ টাকা, তা এখন ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। অতি বৃষ্টির কারণে মরিচের জোগান কম, সরবরাহও কমে গেছে। তাই দামও বেড়েছে।

মরিচভেদে দামে কিছুটা হেরফের আছে জানিয়ে মো. মামুন বলেন, ঝাল বেশি হওয়ায় কারেন্ট মরিচের চাহিদা বেশি। তাই দামও বেশি। এই মরিচ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। আর সবচেয়ে ঝাল এবং দাম বেশি হচ্ছে বড়জের মরিচ, বড়জের মরিচ প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি করছি।

গল্লামারী বাজারে নিয়মিত ক্রেতা আরাফাত বলেন, দাম শুনে কাঁচা মরিচ না কিনে শুকনা মরিচ কিনে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্যান্য সবজির দামও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে নানান অজুহাতে কাঁচা মরিচেরও দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। নিয়মিত বাজার মনিটরিং থাকলে লাফিয়ে দাম বৃদ্ধি হতো না।
গল্লামারি বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন গৃহিণী আফসানা বেগম। কাঁচা মরিচের এমন লাগাম ছাড়া দামে ভীষণ ক্ষুব্ধ তিনি। তার মতে- অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে কাঁচা মরিচ। এমন অস্বাভাবিক দাম কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।  সূত্র : ইনিকলাব অনলাইন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print