ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বার্মিজ গবাদি পশুর বৈধতা পাচ্ছে রামুর ‘গর্জনিয়া বাজারে’

,

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

সীমান্তে বার্মিজ গরু আটকের ফাইল ছবি।

মো.আবুল বাশার নয়ন, বান্দরবান :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বিভিন্ন পাহাড়ী পথে হাজার হাজার গরু প্রবেশ করছে প্রতিদিন। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও দোছড়ি ইউনিয়নের অন্তত ১০টি পয়েন্ট দিয়ে আসা এসব গরুর বৈধতা পাচ্ছে বাজার ইজারাদারদের কাছে।  শুরুতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আনা গরু রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজারে বিক্রি হলেও। বিজিবির অভিযানের মুখে এখন কৌশল পাল্টেছে চোরাকারবারীরা। বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও দোছড়ি ইউনিয়নের সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আনা গরু বাজারে না তুলেই রশিদ সরবরাহ করছে। এই নিয়ে বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি, ফুলতলী, রূপনগর, কুরিক্ষ্যং, পাইনছড়ি এবং রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাজিরপাড়া, মৌলভীরকাটা, ডাক্তারকাটা, হাইস্কুলপাড়া, চাকমারকাটা, সুইচ গেট, বড়বিল, সিকদারপাড়া এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ তৈরী হয়েছে। বাজার ইজারাদারের লোকজন এবং গরু চোরাকারবারীরা সমন্বয় করে এসব এলাকা পাহারা দিচ্ছে। কিছু এলাকায় চোরাই গরু পাচারে অস্ত্রও ব্যবহার করছে বলে সীমান্তরক্ষি বাহিনীর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ‘গর্জনিয়া বাজার’ গেল বছর ইজারা ডাক দেওয়া হয়েছিল ১কোটি ২০লাখ টাকা। বছর না পেরুতেই বাজারটির ইজারার শতাংশ বেড়েছে তিনগুণের চেয়ে বেশি। চলতি বছর এই বাজারের ইজারা ডাক দেওয়া হয় ৪কোটি ৯৬লাখ টাকায়। মূল ডাককারীর কাছ থেকে প্রতিটি সিন্ডিকেট ১কোটি টাকা করে ৫জনের সিন্ডিকেট বাজারটি পরিচালনা করছেন। এর মূল কারণ মায়ানমারের চোরাই গরু বানিজ্য।

সপ্তাহের বৃহস্পতি ও সোমবার প্রতি হাটের দিন ছাড়াও এই বাজার ইজারাদার গরুর রশিদ বানিজ্য করে আয় করছে লক্ষ লক্ষ টাকা। গরুর এই বাজারটি নিয়ন্ত্রণ করছে হাজিরপাড়া, মৌলভীরকাটা, ফাক্রিকাটা ও নাইক্ষ্যংছড়ির একটি সিন্ডিকেট। আগে বাজারে প্রকাশ্যে রশিদ দেওয়া হতো। কিন্তু বিজিবির টহল জোরদার করা হলে ইজারাদারের লোকজন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রশিদ সরবরাহ করে। কিন্তু সেখানেও বাধসাজে বিজিবি। বর্তমানে বাজারের শুধুমাত্র গরুর রশিদ সরবরাহ করছে অর্ধ শতাধিক যুবক। তারা এখন আগের মতো বাড়িতে বা বাজারে নয়, সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় রশিদ বহি নিয়ে হাজির হচ্ছে। আর সেখান থেকে রশিদ নিয়ে পাহাড়ী পথে গরু নেওয়া হচ্ছে বাইশারী-ঈদগড় এবং নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু ও সোনাইছড়ি সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

বাজার ইজারাদার ছাড়াও মায়ানমারের চোরাই গবাদি পশুগুলো পরিবহণযোগে নেওয়ার পথে ইউনিয়ন পরিষদ, পরিবহণ সমিতি, জেলা পরিষদসহ স্থানীয় মাস্তান প্রকৃতির যুবকরাও চাঁদা আদায় করছে। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গাড়ি আটকিয়ে গরু ছিনিয়ে নেওয়া এবং আইন শৃংখলা বাহিনী দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন তারা। এভাবে প্রতিটি গরু পাচারের সময় আইন শৃংখলা বাহিনীসহ ঘাটে ঘাটে ৮হাজার টাকা চাঁদা পরিশোধ করতে হয় বলে একাধিক গরু ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদকের কাছে নিশ্চিত করেছেন।

গরু চোরাচালান প্রতিরোধ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে.কর্ণেল রেজাউল করিম বলেন, বিজিবি শুধু গবাদিপশু নয়, সীমান্তে সবধরনের চোরাচালান প্রতিরোধে সর্তক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে চোরাচালান আটক করতে সক্ষম হচ্ছে।
এদিকে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা জানান, চারজনের স্বাক্ষরে শুধুমাত্র বাজারে বসে গবাদি পশু বেচাকেনার জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। এর বাইরে কেউ ভিন্ন উপায় অবলম্বন করলে আইন শৃংখলা বাহিনী তা আটক করবে অবশ্যয়।

প্রসঙ্গত, গেল ২০২২ সালের আগস্ট মাসের শুরু থেকে মায়ানমারের আরাকান প্রদেশে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরী হয়। সেসময় মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) তাদের ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যায়। আর এই সুযোগে মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গ্রুপ ক্যাম্পগুলো দখলে নেয়। পরে বিদ্রোহী গ্রুপগুলো গবাদিপশুসহ বিভিন্ন চোরাচালান বাংলাদেশের অভ্যান্তরে পাচার করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মায়ানমারের কিছু উপজাতী বাসিন্দাও।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print