
জেলার মিরসরাই উপজেলারপাগলা কুকুরের কামড়ে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ অন্তত ১৫ নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। কুকুরের আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি গৃহপালিত গরু, ছাগলও ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াহেদপুর ও মধ্যম ওয়াহেদপুর গ্রামের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ভোর থেকেই পালাক্রমে ১৫ জনকে কামড় দিয়ে আহত করে পাগলা কুকুর।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড মধ্যম ও উত্তর ওয়াহেদপুর গ্রামের, রবিউল হোসেন, মন্নান, রহিম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান রনি, রফিক, ফকির, হালিমা, ফাতেমা, মিয়া৷
এছাড়া মিয়া ও নিজামের ২টি গরু তাহমিনার ছাগলকে কামড় দেয় পাগলা কুকুর। আহত আরও কয়েক জনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
কুকুরের কামড়ে আহত কৃষক রবিউল হোসেন বলেন, ভোরে আমি ক্ষেত থেকে সবজি তুলে বাড়ির বারান্দায় গুছিয়ে নিচ্ছিলাম। হঠাৎ কিছু বোঝার আগেই আমার উপর পাগলা কুকুর আক্রমণ করে। আমার বাম হাতে কামড় দিয়ে চলে যায়৷
ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়ার হোসেন বলেন, বেওয়ারিশ এই পাগলা কুকুরের ব্যাপারে আগে থেকে এলাকার কেউই অবগত ছিল না। হঠাৎ আজ সকালে এমন ভয়াবহ আক্রমণ। ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়া অবস্থায় মুসল্লীদের উপর আক্রমণ, ক্ষেতের কৃষক, পথচারী, নারী এমনকি গৃহপালিত পশুর উপরও আক্রমণ করেছে পাগলা কুকুর৷ আহতদের মস্তাননগর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফৌজদারহাট সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা কুকুরটি মেরে মাটিতে পুতে ফেলে৷
ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশিদ জানান, পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে আসে। তাদের প্রত্যেককে প্রতিষেধক প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।