ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আজ শোকাহত মিরসরাই ট্রাজেডির এক যুগ : থামেনি স্বজনদের আহাজারি

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে নিহত শিক্ষার্থীরা।

আজ শোকাবহ মিরসরাই ট্র্যাজেডি দিবস। এক যুগ আগে। এই দিনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় এক অভিভাবকসহ ৪৫ স্কুলশিক্ষার্থীর। সন্তান হারানোর শোকে আজো ন্যূয়ে পড়েন স্বজনরা। মিরসরাইবাসী কোনোদিন ভুলতে পারবে না এ দিনটিকে। ১২ বছর আগে এই দিনে এক সঙ্গে এতগুলো প্রাণ ঝড়ে পড়ার ঘটনায় সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল।

২০১১ সালের ১১ জুলাই মিরসরাই স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলা শেষে ফেরার সময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি পিকআপ বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় পাশের একটি ডোবায় উল্টে ৪২ জন স্কুল ছাত্র সহ ৪৫ জন নিহত হন। আজকের দিনটি মিরসরাইবাসীর কাছে অত্যান্ত বেদনাদায়ক। সারা জীবন এ দিনটিকে ভূলতে পারবেনা মিরসরাইবাসী।

১১ জুলাই এলে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন স্বজনরা। স্মৃতি বলতে শুধু ছবির ফ্রেমই রয়েছে। পুত্রহারা মা-বাবারা সেই ছবি নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে আহাজারি করেন। আবার কখনো কখনো নীরব-নিস্তব্ধ হয়ে একেবারেই নির্বাক হয়ে যান। দেখতে দেখতে ঘটনার ১২ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো কান্না থামেনি সন্তানহারা মায়েদের। এখনো ছেলের ছবি নিয়ে নীরবে-নিভৃতে কাঁদেন গর্ভধারিণী মায়েরা। গভীর রাতে ঘুম থেকে জেগে আদরের সন্তানের খোঁজে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন অভাগিনী মা।

.

মর্মান্তিক এই ট্রাজেডিতে উপজেলার আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪ জন, আবুতোরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ জন, আবুতোরাব ফাজিল মাদরাসার ২ জন, প্রফেসর কামালউদ্দিন চৌধুরী কলেজের ২ জন শিক্ষার্থী নিহত হন। এছাড়া এক অভিভাবক, ২জন ফুটবলপ্রেমী যুবক সহ ৪৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে রচিত হয় মিরসরাই ট্র্যাজেডি।

সবচেয়ে বেশী শিক্ষার্থী নিহত হওয়া আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ আর দুর্ঘটনাস্থলে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ ‘অন্তিম’।

আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা আক্তার জানান, মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে নিহত হওয়া শিক্ষার্থীদের স্মরণে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ এবং ‘অন্তিম’ এ পুষ্পস্তবক অর্পন, সাড়ে ১১টায় শোক সভা ও বাদ যোহর দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি জানান, মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নিহত হওয়া আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা, জাতীয়ভাবে মিরসরাই ট্র্যাজেডি দিবস পালনসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

এই ট্রাজেডির পর নিহতদের স্বজনদের সমবেদনা জানাতে ছুটে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ দেশের বিশিষ্টজনরা। থেমে ছিল না দেশের সমাজসেবকদের সাহায্যের হাত। মিরসরাই ট্র্যাজেডি নিয়ে ওই সময় ধারাবাহিক সংবাদ পরিবেশন করেছিল দেশের গণমাধ্যমের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোও।

সেদিন নিহত হওয়া অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আমিন শরীফের বাবা শাহজাহান বলেন, ‘আমার ছেলে যখন মারা যায় আমি তখন বিদেশে ছিলাম। শেষ সময়ে ছেলেটাকে আমি দেখিনি। এর চেয়ে কষ্টের আমার কাছে আর কিছুই নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার ছেলেসহ ৪৫ জন যেখানে নিহত হয়েছে সেখানে পরবর্তী সময়ে অন্তিম নামের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। যখনই ইকোনোমিক জোনের রোড দিয়ে যাতায়াত করি, সে অন্তিমটা নজরে পড়ে। কষ্টে তখন বুকটা ফেটে যেতে চায়।’

স্থানীয় মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমদ নিজামী বলেন, মিরসরাই ট্র্যাজেডির মর্মস্পর্শী সেই ঘটনা আমাদের এখনো আবেগতাড়িত করে। প্রতিবছর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হলেও এবার শোকসভা, মেজবানসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হচ্ছে না। ধর্মীয় কর্মসূচির পাশাপাশি দুটি স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print