
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,এই সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এই দেশে কোন নির্বাচন হবে না। দেশে একটি অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। বিগত ১৫ বছর দেশের মানুষ তাদের নাগরিক অধিকার ভোট প্রয়োগ করতে পারেনি। তারে দিনের ভোট রাতেই নিয়ে ফেলেছে । বিএনপি এই অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। দেশের মানুষও চায়, অবৈধ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। আমরা বারবার বলে আসছি এই সরকার ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। এদের অধিনে সুষ্ট ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। এখন বিদেশিরাও বলছে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে, সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
১২ জুলাই (বুধবার) বিকালে নগর বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবনে আগামী ১৬ জুলাই চট্টগ্রামে শ্রমিক জনতার মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে কোতোয়ালি থানা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি জিনিসের মূল্য চরম ঊর্ধ্বগতিতে।সবকিছুই আজ সরকারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে সব ব্যবসা বাণিজ্য । জনগণ সীমাহীন দুর্দশার মধ্যে জীবন যাপন করছে।কিন্তু সরকার দেশের জনগণের কথা ভাবছে না।তারা ভাবছে ক্ষমতায় আবারো কিভাবে টিকে থাকবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, আগামী ১৬ই জুলাই চট্টগ্রামে শ্রমিক জনতার সমাবেশকে সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। এই সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে বিদায় করতে রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই।
কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মনজুরুল আলম মঞ্জুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আলহাজ এম,এ আজিজ, যুগ্ন আহবায়ক ইয়াসিন চৌধুরীর লিটন, আব্দুল মান্নান, সদস্য হারুন জামান,আহমাদুল আলম চৌধুরী রাসেল, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান,নগর বিএনপি নেতা নুরুল আক্তার,হামিদ হোসেন, আব্দুল বাতেন, এ.কে. এম পেয়ারু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আকতার খান,মফিজ উল্লাহ,আলাউদ্দিন আলী নুর, আলী আব্বাস খান, বিএনপি নেতা ফরিদ উদ্দিন, আমিনুর রহমান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, সাব্বির আহমেদ, আবু মোহাম্মদ মহসিন