
চট্টগ্রামের কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
বুধবার (১৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। চট্টগ্রামে আওয়ামীলীগের শত উস্কানীর মূখেও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচী পালন করে। কিন্তু আওয়ামীলীগ তাদের স্বভাব সুলভ গায়ে পড়ে জগড়া বাধায়। বুধবার চট্টগ্রামে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বিকাল ৫ আগে শেষ হয়। কিন্তু সন্ধ্যা ৬ দিকে নগরীর খুলশী থানাধীন লালখান বাজার ও ওয়াসা মোড় থেকে আওয়ামীলীগের একদল সন্ত্রাসী নাসিমন ভবনে এসে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে। এ সময় তারা বিএনপি কার্যালয়ের সামনের কলাবসিবল গেইট ভেঙে ভিতরে ডুকে অফিসের জানালার গ্লাস, চেয়ার টেবিল, ভাংচুর করে। বাহিরের পোস্টার ব্যানার ছিঁড়ে অগ্নিসংযোগ করে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে পার্কিং করা কার ও সাংবাদিকের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। তাছাড়া মাঠে ক্রিকেট খেলারত স্কুলের ছাত্রদেরও নির্দয়ভাবে মারধর করে তাদের মোবাইল চিনিয়ে নিয়ে যায়। বিএনপি কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই আওয়ামী লীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে। এর আগে তারা লালখান বাজার আমীন সেন্টারের সামনে পদযাত্রা শেষে বাস যোগে লালখান বাজার হয়ে বাড়ীতে যাওয়ার সময় মহিউদ্দিন বাচ্চুর সমর্থকেরা বাসে হামলা চালিয়ে বাস ভাংচুর করে এবং নেতাকর্মীদের মারাত্মকভাবে আহত করে। এখন অনেক নেতাকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা মনে করি, বিএনপির পদযাত্রায় লক্ষ লক্ষ জনতার জোয়ার দেখে আওয়ামীলীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা শান্তি প্রিয় চট্টগ্রামকে অশান্ত করার পায়তারা করছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, লালখান বাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাংচুর শেষে চলে যাওয়ার পর আরেক গ্রুপের নেতাকর্মীরা নগরীর নন্দনকানন থেকে মিছিল নিয়ে নাসিমন ভবনের সামনে আসেন। সেখানে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমকে দেখা গেছে এবং হামলার নেতৃত্বে তিনি ছিলেন। চট্টগ্রামের ইতিহাসে এই প্রথম কোন রাজনৈতিক দলের অফিসে ঢুকে তান্ডবলীলা চালানো হয়েছে। সহিংস রাজনীতিতে বিএনপি বিশ্বাস করে না। তারা নিজেরা হামলা করে বিএনপির উপর দোষ চাপিয়ে চট্টগ্রামে বিরাজমান শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করার পায়তাঁরা করছে।আজকের এই হামলার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করতে আওয়ামীলীগ আবারও মরিয়া হয়ে ওঠেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মামলাগুলো দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেফতারের খেলায় মেতে উঠেছে সরকার। লক্ষ্য একটাই, আবারও বিনাভোটে জোর করে, কারচুপি করে যেনতেনোভাবে ক্ষমতা দখল করা। এই লক্ষ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মিথ্যা মামলা দায়ের এবং হত্যা, গুমসহ অব্যাহত গতিতে গ্রেফতার করে কারান্তরীণের মাধ্যমে গোটা দেশকেই কারাগারে পরিনত করেছে সরকার। বর্তমান সময়ে এই হামলার ঘটনা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এ ধরনের অপকর্ম সরকারের চলমান প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
নেতৃবৃন্দ বিএনপি কার্যালয়ে হামলাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবি জানান।