
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
জেলার সীতাকুণ্ডে বলৎকার থেকে রক্ষা পেতে নুরুন নবীকে গলায় তার পেঁছিয়ে হত্যা করেছে রুমমেট নুর মোহাম্মদ। আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ কথা শিকার করেছেন রুমমেট নুর মোহাম্মদ।
গত বৃহস্পতিবার সকালে গলায় বৈদ্যুতিক তার প্যাঁচানো অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নুরুন্নবীর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক হওয়া নুর মোহাম্মদ এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কথা স্বীকার করে শুক্রবার আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ।

পুলিশ জানায়, উপজেলার সলিমপুরের সাংগু অক্সিজেন রোড এলাকায় জনৈক মোহাম্মদ ওসমানর তেলের ডিপোতে পাহারাদার হিসাবে চাকুরি করতো নুরুন্নবী। ডিপোতে একই রুমে নুরনবীর সাথে থাকতো ৭/৮ মাস আগে পরিচয় হওয়া আসামী নুর মোহাম্মদও। সে পেশায় একটি ট্রেলার গাড়ির হেলপার। একদিন রাতে ঘুমানোর আগে নুরনবী নুর মোহাম্মদকে নেশা মিশ্রিত পেপসি খেতে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আসামী নুর মোহাম্মদ গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে নুরুন নবী বলৎকার করে।
এরপর থেকে নুরন নবী প্রায় সময় মদ খেয়ে নুর মোহাম্মদকে বলৎকার করতো।
আদালতে জবানবন্দিতে আসামী বলেন, ঘটনার রাতে ২০ জুলাই রাত ১টার দিকে আমাকে জোরকরে বলৎকার করে। এতে আমি বেশি ব্যাথা পাই। এসময় আমি নুরন্নবীকে লাথি মেরে সরিয়ে দিলে সে মেঝেতে পড়ে গিয়ে মাথায় রক্তাক্ত আঘাত পায়। এরপর একটি বৈদ্যুতিক তার দিয়ে নবীকে গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করি।
মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর নুরন্নবীর কাছে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে প্রথমে পালিয়ে যাওয়ায় চিন্তা করি। পরে মনে হয় যেখানেই পালিয়ে যায না কেন পুলিশ ধরে ফেলবে। সে চিন্তা করে নুর মোহাম্মদ ডাকাতরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে তার পরিবারকে ফোন করে জানাই।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলের পারিপার্শ্বিকতা, মৃত ব্যক্তির দেহ পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে হত্যাকান্ড যে, ডাকাতদের দ্বারা সংঘটিত হয়নি তা বুঝতে পেরে মৃতের সাথে থাকা নুর মোহাম্মদকে কৌশলে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে সে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে না পারায় সে, হত্যার কথা পুলিশকে জানান। আসামী বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।