
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, আগে ভোট ডাকাত নামে একটা শব্দ প্রচলিত ছিল। কিন্তু এখন সেটি নেই। ভোটার ছাড়া ভোট কেন্দ্রে কেউ প্রবেশ করার সুযোগ নেই। ইভিএমে একজনের ভোট আরেকজনে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আজ রবিবার (২৩ জুলাই) বিকেল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ নির্বাচন উপলক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন।
ইসি বলেন, চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত খুবই ভালো। সবাই সবার মতো করে সুন্দর পরিবেশে প্রচারণা চালাচ্ছেন। উপনির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রে আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হামলা-মামলার ঘটনাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। সেজন্য আমরা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বাড়াবো। কিছুদিন আগে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেটিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করছেন। চট্টগ্রামের এ উপনির্বাচনে এখনো আমরা কারো থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়া বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় তাই হয়তো ভোটার উপস্থিতি কম। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীদের ভুমিকাই মূখ্য।
হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় নয়। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রে আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
নতুন দুটি দল নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে দুইটি দলকে নিবন্ধনের সুপারিশ করা হয়। এটাই আমরা বলছি। ২৬ তারিখের মধ্যে যদি কোনো আপত্তি থাকে। তাহলে আমরা বিষয়টি আমরা দেখবো। অভিযোগ থাকলে সেটি নিষ্পতি করেই দেওয়া হবে।