
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ১০টা ১ মিনিটে।
আজ বুধবার (২৬ জুলাই) এ তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ। এক সঙ্গে দুজনেরই ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে ২৫ জুলাই দুপুর পৌনে একটার দিকে তাহের হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামির স্বজনরা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে তাঁরা স্বজনদের কাছে মাফ ও দোয়া চেয়েছেন।
বেলা ১১টার দিকে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের স্বজনরা সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা একটি কালো মাইক্রোবাসে করে কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। সাক্ষাৎ শেষে দুপুরে তাঁরা আবার মাইক্রোবাসে করে চলে যান।
দুপুর ১২টার দিকে আরেক আসামি জাহাঙ্গীর আলমের স্বজনরা সাক্ষাৎ করতে কারাগারে যান। বেলা পৌনে একটার দিকে তাঁরা ভেতরে প্রবেশ করেন। হুইলচেয়ারে বসে এসেছিলেন জাহাঙ্গীরের পক্ষাঘাতগ্রস্ত বাবা আজিম উদ্দিনও। ছিলেন বড় ভাই সোহরাব আলী, ছোট ভাই মিজানুর রহমানসহ ৪০-৪৫ জন। বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে তাঁদের কারাগারের পেছনের ফটক দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।
জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। পরিবারের সব সদস্যের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সবাইকে ধৈর্য্য ধারণ করতে বলেছেন। বিচার নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। জাহাঙ্গীরের বাবা আজিম উদ্দিন বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছে। মাঝখানে তারকাঁটা ছিল। ছেলেকে ছুঁয়ে দেখতে পারিনি। ছেলে দোয়া চেয়েছে।’
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদোন্নতি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে অধ্যাপক এস তাহের খুন হন। ম্যানহোল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০০৮ সালের ২২ মে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।