
চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় পুলিশ ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশের একজন সহকারী কমিশনার সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর হয় পুলিশের একটি ভ্যানসহ কয়েকটি যানবাহন।
আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে ৩টার দিকে আগ্রবাদ চৌমুনী এলাকায় জামায়াত শিবিরের একটি মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে এ সংঘের্ষর সূত্রপাত ঘটে।
এসময় পুলিশ ২১ জনকে আটক করেছে।

জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ মোড় এলাকা থেকে মিছিল শুরু করে। মিছিলটি চৌমুহনী মোড় এলাকায় এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াতের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এরপর সমাবেশ শেষে ফেরার পথে পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে জামায়াত-শিবিরের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। ইটপাটকেল নিক্ষেপে রাস্তায় আরো কয়েকটি গাড়ীর কাঁচ ভেঙ্গে যায়।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, জামায়াত-শিবিরের হামলা করে ডবলমুরিং জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) মুকুর চাকমার গাড়িটি ভাঙচুর করা হয় এবং তার মাথা ফেটে দেয়। এছাড়াও আরও ২-৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তারা আমার গাড়িতেও পাথর নিক্ষেপ করেছে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে ২১ জন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনার পরপরই আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থান নিয়েছে যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য চট্টগ্রামে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ইতোমধ্যে জামাযাতের পক্ষ থেকে পুলিশ কমিশনারের কাছে বার বার অনুমোদন চেয়েও পুলিশের সাড়া পায়নি দলটি।