
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বিভিন্ন দেশে দুর্নীতি দমনের হাতিয়ার বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা সফররত দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ। রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গতকাল সোমবার নেফিউর সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিকের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে শোনা যায়- এ বিষয়ে বৈঠকে আলাপ হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এভাবে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি নিয়ে আলোচনা হয়নি। নেফিউ একসময় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করতেন, সে ক্ষেত্রে ‘নিষেধাজ্ঞাকে একটি হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহারের চিন্তাভাবনা তাঁদের আছে।
পররাষ্ট্রসচিব জানান, নেফিউ যেভাবে বলেছেন তাতে নিষেধাজ্ঞা যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে, শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়। আর ভবিষ্যতে বড় বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, এমনটি তাঁরা ভাবছে।
এর আগে রিচার্ড নেফিউ গত রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশে কী ব্যবস্থা প্রচলিত আছে, তার খোঁজখবর নেন। এ সফরে নেফিউর নেতৃত্বাধীন মার্কিন দলটি বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতিবিরোধী প্রশিক্ষণ, অর্থ পাচার প্রতিরোধ এবং দুর্নীতি দমনে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন বলে দুদক কর্মকর্তারা জানান।