
জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় সাত বছর বয়সি ছাত্রীকে পরীক্ষা শেষে ধর্ষণের ঘটনায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডিত আবু তাহের ওরফে শিপন (৩০) সন্দ্বীপের হারামিয়া ইউনিয়নের হারামিয়া গ্রামের মৃত আবুল কালাম ওরফে ফখড়ের ছেলে।
রায় ঘোষণাকালে তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি জিকো বড়ুয়া বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আবু তাহেরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৯ জুন সকালে মাদ্রাসায় যায় প্রথম শ্রেণির ওই ছাত্রী। সেদিন তার পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে মাদ্রাসার বারান্দায় বড় ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল সে। কিন্তু গাড়ি চালক বড় ভাই সেদিন দূরে ভাড়া নিয়ে যাওয়ায় ছোট বোনকে আনতে যেতে পারেননি।
এদিকে অপেক্ষায় থাকা ওই ছাত্রীকে একা দেখতে পেয়ে বেত দিয়ে মেরে তাকে জোর করে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে নিয়ে যান শিক্ষক আবু তাহের। সেখানে ওই ছাত্রীকে তিনি ধর্ষণ করেন এবং মেয়েটি বাড়িতে কাউকে কিছু যেন না বলে, সেজন্য ভয় দেখান।
পরে আবু তাহের পুকুরে গেলে মেয়েটি অফিস কক্ষ থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায়। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সন্দ্বীপের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তার বাবা ২০২১ সালের ১৩ জুন থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ৩১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার একমাত্র আসামিকে আজ যাবজ্জীবন দণ্ড দেন আদালত। এই মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষে পিপির সঙ্গে অংশ নেন অ্যাডভোকেট শিমুল বড়ুয়া, সুস্মিতা বড়ুয়া ও চৈতি বড়ুয়া।