ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীসহ তিনজনের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে রায় প্রকাশের পর (পুনর্বিবেচনা) রিভিউ করার সুযোগ পাবেন বলে জানান আইনজীবীরা।

তানিয়া ইয়াসমিনের স্বামী মোহম্মদ জাহিদ হোসেন জুয়েল, গাড়িচালক মোহম্মদ শাহিন আলম ও ভাড়াটিয়া খুনি মোহম্মদ মিজানুর রহমান। তিন আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন।

আসামিদের করা আপিল আবেদন খারিজ করে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আইন অনুযায়ী আসামিরা পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করতে পারবে আসামিরা।

জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি জাহিদ স্ত্রী তানিয়া ইয়াসমিনকে নিয়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যান। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা কুয়াকাটার একটি হোটেলে ওঠে। ৩০ জানুয়ারি কুয়াকাটা থেকে ফেরার পথে রাত ১১ টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রাজপাড়া নামক স্থানে (হাইওয়ে রাস্তার পশ্চিম পাশে) গাড়িতে স্বামী জাহিদের সাজানো ছিনতাইয়ের কবলে পরে।

ছিনতাইকারী সেজে ভাড়াটে খুনি মিজান, স্বামী জাহিদ ও গাড়ির চালক শাহিন গাড়ির ভেতরে তানিয়াকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ১০ মাসের শিশুসন্তানসহ তানিয়াকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায় আসামিরা। ঘটনাস্থলে তারা কাশেম নামের একজনের ভুয়া পরিচয়পত্র ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তানিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় পরের দিনই অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি তানিয়ার ভাই রায়হান গফুর বাদি হয়ে জাহিদ ও কাশেমের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দু’জনকে আসামি করে কলাপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ এপ্রিল পুলিশ জাহিদ, শাহিন ও মিজানের নামে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এর মধ্যে আসামিরা গ্রেফতার হয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বিচার শেষে পটুয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত এই তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১২ সালের ৮ জুলাই তিনজনের বিরুদ্ধে বিচারিক (নিম্ন) আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশই বহাল রাখে।

পরে আসামিরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান। শুনানি শেষে মঙ্গলবার আপিল বিভাগ তাদের আপিল খারিজ করে রায় দেন আদালত। ফলে তাদের মৃত্যুদণ্ডই বহাল রইলো।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print