
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, জাতীয় শোক দিবসকে ঘিরে জঙ্গি ও সাইবার হামলার সুনির্দিষ্ট কোন হুমকি নেই। তবে নির্বাচনের বছর হওয়ায় সহিংসতা হতে পারে।
আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই জাতীয় শোক দিবসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাইকে ব্যাগ কিংবা বাক্স নিয়ে না আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। এবার বেশি মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হবেন।
যারা ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন তাদেরকে অনুরোধ করে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ব্যাগ, চাকু কিংবা অন্য কোনো কিছু নিয়ে আসবেন না। প্রত্যেকটি লোককে আর্চওয়ে গেটের মাধ্যমে চেকিং করে ভেতরে প্রবেশ করানো হবে। গেটে মেটাল ডিটেক্টর থাকবে তা দিয়ে চেক করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে রাস্তায় রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, মেস, হোটেল ও আবাসিক এলাকায় চেক করা হচ্ছে। কোনো সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারী আশ্রয়-প্রশ্রয় নিয়েছে কি না। নির্বাচনের বছরে কেউ যাতে কোনো নাশকতার মাধ্যমে সরকারকে-পুলিশকে বিব্রত করতে না পারে।
সাইবার ওয়ার্ল্ডে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে জানিয়ে কমিশনার বলন, সিটিটিসি ও ডিবির সাইবার ইউনিট সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে কোনো হুমকি আছে কি না। সার্বিকভাবে আমরা যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি আশা করছি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সর্বস্তরের মানুষ যারা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন তারা নিরাপত্তারসহিত শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।
১৫ আগস্ট ঘিরে কোনো সুনির্দিষ্ট জঙ্গি হামলার তথ্য নেই। তবুও আমরা মনিটরিং করছি, আমরা সতর্ক রয়েছি। গত পরশুদিন দেখলাম ‘ইমাম মাহাদীর কাফেলা’ নামক নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন। সিলেট থেকে এই জঙ্গি সংগঠনের ১০ জনকে সিটিটিসি গ্রেফতার করেছে।
এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।