
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)র পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বির্তকিত ওসি নাজিম উদ্দীনসহ দুই থানার ওসিকে। খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমাকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে ।
রবিবার (২০ আগস্ট) রাতে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় এ বদলির আদেশ দেন। ওই আদেশ অনুযায়ী, খুলশী থানার ওসি সন্তোষ চাকমাকে পাঁচলাইশ থানার ওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে পাঁচলাইশ থানার বর্তমান ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদারকে সিএমপির সিটিএসবির পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা করেছিলেন নগরীর হামজার বাগ এলাকার এক নারী।
এদিকে কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুবেল হাওলাদারকে খুলশী থানার ওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
সিটিএসবির পুলিশ পরিদর্শক এআইএম তৌহিদুল করিমকে চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া সিটিএসবির পুলিশ পরিদর্শক রফিক উল্লাহকে সিএমপির পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) হিসেবে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) মোহাম্মদ আতিকুর রহমানকে সিএমপির পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি-উত্তর) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
আদালতে দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে শামিমা ওয়াহেদের স্বামী আজগর চৌধুরীর মৃত্যুর পর থেকে মামলার বাদি ও তার ২ সন্তানকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে সামাজিকভাবে হয়রানি করে আসছিল আসামি আহমেদ ফয়সাল। পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদারের নির্দেশে এসআই মো. জাকির আসামিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রমূলক শামিমা ওয়াহেদ ও তার ভাইদের গত ২৭ জুলাই দুপুরে থানায় ডেকে নিয়ে গালাগাল করে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। যদি কথা না শুনে তাহলে তাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে জেলের ভাত খাওয়ানো হবে। ওসি নাজিম উদ্দিন পদ ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শামিমাদের ভয়ভীতি দেখায় বলেও মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
গত ১০ জানুয়ারী মঙ্গলবার ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধি এবং সরকারিভাবে ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনের সড়কে কিডনি রোগী ও স্বজনদের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে মুস্তাকিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকেসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের ৫০ থেকে ৬০ জন রোগীর স্বজনকে আসামি করে সরকারি কাজে বাধাদান ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করে পুলিশ।
পরে মো. মুনতাকিম প্রকাশ মোস্তাকিমকে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচলাইশ থানার ওসি এবং এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে ২২ ফেব্রুয়ারি মামলা করা হয়। ওই সময় মেডিকেল পরীক্ষা ও গণমাধ্যমে মুনতাকিমের যেসব ছবি প্রকাশ হয়, সেখানে মোস্তাকিমের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল।
এরপর আদালতের আদেশ অনুযায়ী মোস্তাকিমের পক্ষে চট্টগ্রাম সিআইডির পুলিশ সুপার মো. শাহনেওয়াজ খালেদ গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন ও এসআই আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেন। কিন্তু মামলা হওয়ার আগের দিন হঠাৎ ছুটিতে চলে যান অভিযুক্ত ওসি নাজিম এবং এসআই। অথচ ফৌজদারি মামলা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।