
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বাসায় ঢুকে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই দম্পতির হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ।
নিহত দম্পতির পরিচয়- উত্তম বর্মণ (৬২) ও তার স্ত্রী কাজলী রাণী বর্মণ (৫৫)।
ওসি বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করছি। তাদের বালিশচাপা দিয়ে (শ্বাসরোধ করে) নিজের ঘরেই মেরে গেছে দুর্বৃত্তরা। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
ওই দম্পতির প্রতিবেশী সবিতা সাহা বলেন, ‘সকালে ফুল তুলতে গিয়ে আবিষ্কার করি যে উত্তম বর্মন ও তার স্ত্রী ঘুম থেকে ওঠেননি। ডাকার পর সাড়াশব্দ না পেয়ে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করি। ভেতরে দরজা খোলা দেখে পাশের বাসার লোকজনকে খবর দেন। পরে দেখেন দু’জনের হাত-পা বাঁধা লাশ পড়ে আছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মজিব বলেন, ‘এলাকায় চুরি-ডাকাতি বাড়ছে। চুরি বা ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দেবনাথ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী, হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজিগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দেবনাথ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি এনামুল হক চৌধুরী, হাজিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন।
তাদের মেয়ে রিনা রানী বর্মন বলেন, তারা দুই বোন। তার বিয়ে হয়েছে মতলবে। সকালে এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে তিনি এসেছেন। তাদের বাড়ি লাকসাম হলেও দীর্ঘদিন হাজীগঞ্জে বসবাস করে আসছেন।
উল্লেখ্য, উত্তম বর্মন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হরমন চন্দ্র বর্মনের ছেলে। তিনি ও তার স্ত্রী ঘটনাস্থল দুলাল সাহার বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। উত্তম বর্মন স্থানীয় মাছের আড়তে শ্রমিকের কাজ করতেন ও তার স্ত্রী কাজলী রানী গৃহকর্মী হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন।