অবেশেষ চালু হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)র শিক্ষার্থীদের বহনকারী শাটল ট্রেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার জেরে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছিল রেলওয়ে রানিং স্টাফরা।
পরে আজ রবিবার সকাল থেকে রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে চবি প্রশাসনের বৈঠকে সন্তুষজনক সমাধানের পর দুপুর ২টা ৫০ মিনিট থেকে শাটল ট্রেন চালু হয়েছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। এসময় চট্টগ্রাম শহরের বটতলী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে একটি ট্রেন।
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি’ প্রচার সম্পাদক শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের ৬ দফা দাবি ছিল। তা পূরণের আশ্বাস দেওয়ায় দুপুর থেকে ট্রেন চলাচল ফের চালু হয়েছে।
জানতে চাইলে ষোলশহর স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদিন বলেন, রেল স্টাফরা সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী ট্রেন না ছাড়লেও দুপুর ট্রেন যথারীতি চলাচল শুরু করেছে। বেলা পৌনে ৩টায় ক্যাম্পানের উদ্দেশ্যে একটি ট্রেন ছেড়েছে।
এর আগে রেল ষ্টাফদের ধর্মঘটের কারণে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) খোলার দিন সকাল থেকে নগরীর বটতলী রেলস্টেশন থেকে কোনো ট্রেন চবি ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে না যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর আমাদের দুই লোকমাস্টারকে (এলএম) লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর তারা আমাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বাস্থ করার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
উল্লেখ্য- গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের ছাদে বসে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে চৌধুরী হাট এলাকায় ভেঙ্গে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ১৬ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার জেরে ওইদিন শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে পৌঁছালে লোকমাস্টারদের লাঞ্ছিত করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনসহ বিভিন্ন এলাকার স্থাপনায় ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট-বড় গাড়ি।
