
চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈসা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে জুমার নামাজে বোমা হামলার ঘটনায় আবদুল গাফফার নামে এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম নাজমুল হোসেন চৌধুরী এ আদেশ দেন।
তবে জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফার অন্য মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়ে ইতোমধ্যে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন বলে জানাগেছে।

সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নৌবাহিনীর ঈসা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা হামলার মামলা তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ আদালত জেএমবি সদস্য আব্দুল গাফফারকে শ্যোন এ্র্যারেস্ট এর নির্দেশ দিয়েছেন।
রাতে পাঠক ডট নিউজ এর সাথে আলাপকালে মামলার (আইও) চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার পরিদর্শক জাবেদ মাহমুদ।
তিনি বলেন, তাকে গ্রেফতারের আদেশের জন্য গত ১৫ জানুয়ারি আদালতে আবেদন করেছিলাম। আজ আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে তাকে শ্যোন এরেস্টের নির্দেশ দেন। একই সাথে আদালত এ মামলায় তার বিরুদ্ধে কোর্ট ওয়ারেন্টও ইস্যু করেছেন।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর নৌবাহিনীর সংরক্ষিত এলাকা ঈসা খাঁ ঘাঁটির ভিতরে মসজিদে জুমার নামাজের পরে পর দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবির সদস্যরা। এতে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে বেরিয়ে যাবার সময় বোমার আঘাতে ২৪ জন আহত হয়। নৌ বাহিনীর মধ্যে ছত্রবেশে লুকিয়ে থাকা জেএমবি সদস্যরা এ হামলা চালায় বলে প্রকাশ পায়।

এ ঘটনায় ৯ মাস পর মামলা দায়ের করা হয় নৌ বাহিনীর পক্ষ থেকে।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান, রমজান আলী ও বাবুল রহমান ওরফে রনিকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে আব্দুল মান্নান ও রমজান আলী বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি রয়েছে।