
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কার্যালয়ে যাবেন। বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ব্যারিস্টার মামুন বলেন, এ বিষয়টি জানার পর জাতিসংঘ থেকে গত ১ অক্টোবর তিনি ঢাকায় এসেছেন। তিনি চিঠির মাধ্যমে দুদকে জানিয়েছেন ৫ অক্টোবর অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জবাব দিতে দুদকে যাবেন। আমরা আইনজীবীরাও ওনার সাথে থাকব।
ব্রিফিংয়ের সময় ড. ইউনূসের অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। ব্যরিস্টার মামুন আরো জানান, বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জবাব দিতে গ্রামীণ টেলিকমের তিনজন গিয়েছেন। অসুস্থ থাকায় অন্য দুই জন আসতে পারেননি।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর ড. ইউনূস দুদকে যেতে প্রস্তুত আছেন জানিয়ে ব্যরিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছিলেন, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিকদের টাকা, আইনজীবীদের ফিসহ সব পাওনা পরিশোধ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, টাকা যখন দেয়া হয়নি, তখন বলা হলো টাকা দিচ্ছেন না। আবার টাকা পরিশোধ করার পর বলা হলো অর্থপাচার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় মিথ্যা মামলা করা হলো। এসব করে গত ২৭ সেপ্টেম্বর আমাদেরকে সাতটি চিঠি দেয়া হলো। আগামী ৪ অক্টোবর আমাদেরকে হাজির হতে বলা হলো। আমরা নাকি শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করেছি। এখানে ড. ইউনূস বা অন্য কারো সম্পর্ক নেই। এখানে মিথ্যা মামলা করা হলো।
তিনি জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর অর্থপাচারের অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মাদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তলব করা হয়েছে। তাদের সবাইকে সশরীরে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। ৪ ও ৫ অক্টোবর হাজির হতে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ৫ অক্টোবর ড. ইউনূস দুদকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। ড. ইউনূস বলেছেন তিনি দুদকে যেতে প্রস্তুত আছেন।
ড. ইউনূস ছাড়াও তলব করা হয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফীকে।
ড. ইউনূস গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান। গত ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার।