
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হেঁয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করার অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ হলরুমে একাদশ শ্রেণীর নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এ অশ্লিল নৃত্য পরিবেশন করা হয়। অশ্লীল নৃত্যে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে হেঁয়াকো বনানী ডিগ্রী কলেজ হলরুমে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ভাড়া করা প্যাকেজ অনুষ্টানের নৃত্য শিল্পী এনে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করা হয়। ওই অশ্লীল নৃত্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, অনুষ্ঠান মঞ্চে হিন্দি গানের সাথে এক তরুণী হিন্দি গানের তালে তালে আপত্তিকর ও অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করছে। মঞ্চের পাশে কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বটন দে কে নৃত্যের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কোমর দোলাতে দেখা যায়। এবং উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকেও নৃত্য পরিবেশনে উৎসাহিত করতে দেখা যায়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিহাব উদ্দিন রাশেদ লিখেন এদের পচন খুব গভীরে। মো. ইবরাহীম রাহাত স্থানীয় কয়েকজনকে ম্যানশন দিয়ে লিখেন আমি জানলে এটেন্ড করতাম। তার প্রতি উত্তরে আরিফ আর বাবলু নামে একজনে লিখেন দুঃখের বিষয় এ রকম নৃত্য আমাদের এদিকে হয় না।
এ বিষয়ে দাঁতমারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ সরকার বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখেছি। এরকম একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। শিল্পীগুলো বাহিরে থেকে আনছে মনে হয়। বিষয়টি খুবই সেন্সেটিভ। এ বিষয়ে কি বলবো নিজেই বুঝতেছিনা।’
এ বিষয়ে মতামত জানতে মঙ্গলবার সন্ধায় হেঁয়াকো বনানী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফারুকুর রহমানেরর মুঠোফোনে বলেন- আমরা নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করছি। নবীন বরণ অনুষ্টানে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বিশেষ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। নবীনবরণ শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। এতে বিভিন্ন শিল্পিরা নৃত্য করেছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে নৃত্যের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি হয়। সেখানে আমাদের একজন শিক্ষক নৃত্যের অঙ্গভঙ্গি করেছে। সেটি আপত্তিকর নয়।আর্থিক বিনিময়ে নৃত্য শিল্পীদের এনে এসব সাংস্কৃতিক প্রায় প্রতিষ্ঠানে হয়ে থাকে। এখানে কিছু আপত্তিকর নৃত্য হয়েছে। যখনই জেনেছি হিন্দি গান ও অশ্লীল নৃত্য চলছে তখনই বন্ধ করে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির রাহমান সানি বলেন- আমি বিষয়টি নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।