
চট্টগ্রামের ৩ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট চলছে। আকস্মিক ডাকা এই ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধসহ একাধিক দাবিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ-বান্দরবান সড়ক ও উপ-সড়কের ২৬ রুটে আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল-কক্সবাজার-বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। ফলে এসব সড়কে সকাল থেকে কোনও গণপরিবহন চলছে না।

পূর্বে কোন ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে ধর্মঘটের কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন গন্তব্যের শত শত যাত্রী কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু ও মইজ্জার টেক এলাকায় আটকা পড়েন।
মালিক শ্রমিকের তাদের দাবি- সড়ক ও উপ-সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, সড়কে শৃঙ্খলা আনা, বিআরটিএ’র অনুমোদন ছাড়া মিনি বাস চ্যাসিসকে লোকাল গ্যারেজে করে দ্বিতল বাসে রূপান্তর করে স্লিপার কোচ নাম দিয়ে অপ্রশস্ত রোডে চলাচল নিষিদ্ধ করা, বহিরাগত এসি/নন এসি বাস রুট পারমিটের শর্ত ভঙ্গ করে লোকাল রুটের যাত্রী বহনের কারণে গাড়িতে গাড়িতে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ করা, সড়কের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির জন্য দায়ী ইজিবাইক, ব্যাটারি রিকশা, টমটম ও অবৈধ থ্রি হুইলার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা, হাইওয়ের আইন অনুযায়ী রাস্তার উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনাসহ হাটবাজার সরিয়ে নেয়া, একই দেশে ঢাকা ও চট্টগ্রামে একই ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ জরিমানার বৈষম্য দূরীকরণ, চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট আঞ্চলিক বাস টার্মিনাল সংস্কার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ, খোলা ট্রাকে লবণ পরিবহন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, রিকুইজিশানের মাধ্যমে দুই জেলায় রুট পারমিটধারী বাস মিনিবাস কোচ গাড়ি দেশের প্রত্যন্ত এলাকা ও উপজেলায় পাঠানোর নামে রিকুইজিশন বাণিজ্য বন্ধ, কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালে আবর্জনার স্তুপ অবিলম্বে পরিষ্কার করা।
চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল-কক্সবাজার-বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুছা জানান, সড়কে শৃঙ্খলা আনা, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধসহ একাধিক দাবিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ-বান্দরবান সড়ক ও উপ-সড়কে বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট চলছে। যার কারণে এ রুটে কোনও গাড়ি চলছে না।
এর আগে গত ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরী থেকে কক্সবাজার-বান্দরবান সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সব রুটে দুই ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।