
নদী দখলদারদের সঙ্গে চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে- এমন আলোচিত বক্তব্য দেওয়ার ২৪ দিনের মধ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে বুধবার (১৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ জনস্বার্থে এতদ্বারা বাতিল করা হলো।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, নদী দখলদারদের পেছনে রাজনৈতিক শক্তি আছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে যারা বালু উত্তোলন করছেন, তাদের সঙ্গে চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে।
বলা হয়, তিনি তখন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে ইঙ্গিত করেছিলেন। দীপু মনির নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুর-৩ আসন (চাঁদপুর সদর-হাইমচর)। নদী রক্ষার অবদান রাখা কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়া হয় বলেও এর আগে অভিযোগ তুলেছিলেন মঞ্জুর আহমেদ।
২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ পান মঞ্জুর আহমেদ। ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন, ২০১৩’ এর ধারা ৫(২) এবং একই আইনের ধারা ৫(৩) অনুযায়ী তিনি এ নিয়োগ পেয়েছিলেন। পরে তাকে সচিব পদমর্যাদাও দেওয়া হয়।
মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী একজন কীটতত্ত্ববিদ ও বাংলাদেশ প্রাণীবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার নিয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এখন এক বছর চার মাস বাকি থাকতেই তার নিয়োগ বাতিল করা হলো।