জেলার ফটিকছড়ি পৌরসভা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মনিরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে কিছু সন্ত্রাসী। এসময় মনিরুলকে বাঁচাতে আসলে তার দুই প্রবাসী ভাইকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের শামসু মাস্টারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় যুবলীগ নেতা ইরফান ও গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় কয়েকজনের সাথে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মনিরুল ইসলামের পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিলো।এরমধ্যে মনিরুল ইসলাম বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকার সুযোগকে কাজি লাগিয়ে প্রতিপক্ষ তাঁর পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতো। সর্বশেষ গত ৫ অক্টোবর বিএনপির রোডমার্চে লোকজন নিয়ে যাওয়ার জেরে তাকে হুমকি দেয়া হয়। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকালে যুবলীগ নেতা ইরফানের সাথে মনিরুলের কথা-কাটাকাটি হয়। আর বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ইরফান ও গিয়াস উদ্দিন রুবেলের নেতৃত্ব তাজউদ্দীন জুয়েল, তুষার, মিজানুর রহমান, জসিম উদ্দিনসহ ১০-১২ জন ব্যক্তি মনিরুলের বাড়িতে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
জানা যায়, সন্ত্রাসীরা মনিরুল ইসলামকে ঘর থেকে বের করে এনে মারধর করতে থাকে।একপর্যায়ে তাকে বাঁচাতে আসলে তার প্রবাসী ভাই মফিজুল ইসলাম,শহিদুল ইসলাম ও মাসুদুলের উপরও হামলা করা হয়।এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মফিজুল ও শহিদুলের মাথা ফেটে যায়।আর তাদেরকে বাঁচাতে আসলে ক্যান্সার আক্রান্ত বোন মনোয়ারা বেগমকেও বেধড়ক পিটুনি দেয়া হয়।পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।যাওয়ার সময় তারা মনিরুলকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
মারাত্মকভাবে আহত শহিদুল ইসলাম ও মফিজুল ইসলাম ওমান প্রবাসী। তারা ছুটিতে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন।এরমধ্যে শহিদুলের ঘটনার দিন (বৃহস্পতিবার) রাতের ফ্লাইটে কর্মস্থল ওমানে চলে যাওয়ার কথা ছিলো।
ভুক্তভোগী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে আওয়ামী লীগ পরিচয়ধারী স্থানীয় কিছু ব্যক্তি আমার পাশাপাশি আমার পরিবারকেও বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিতো।এরমধ্যে তারা গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করেছে।আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার দুই ভাইকে তারা কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে।এসময় তারা আমার ক্যান্সার আক্রান্ত বোনকেও রেহাই দেয়নি।
এদিকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) নুরুল হুদা বলেন, ‘ এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যরা থানায় এসেছিল।আমরা মামলা নিবো এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।