
চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার দ্বিতীয় দিনে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যানবাহন পার হয়েছে মোট ৩ হাজার ২০৫টি গাড়ি। এতে টোল আদায় হয়েছে ৭ লাখ ১ হাজার ৩৫০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল বিভাগের পরিচালক বেলায়েত হোসেন সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান। এর আগে গতকাল যানবাহন চালু হওয়ায় প্রথম দিনে ২৪ ঘণ্টায় টানেলের ভিতর দিয়ে ৫,৪২৯টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পারাপর হয়েছে। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৩০০ টাকা। এই নিয়ে দুই দিনে টানেল পার হয়েছে ৮ হাজার ৬৩০টি গাড়ি। আয় হয়েছে ১৯ লাখ ১৪হাজার ৬৫০ টাকা।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) ভোর ছয়টা থেকে টানেলটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। তবে যান চলাচলের প্রথম দিনেই বিরোধী দল গুলোর ডাকা হরতালের কারণে গাড়ি চলাচল ছিল বলে দাবী করেন কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু টানেলে চলছে ১২ ক্যাটাগরির যানবাহন। এজন্য সর্বনিম্ন টোল দুশো টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে চলাচল করতে পারবে না মোটরসাইকেল বা তিন চাকার যান।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বহরে ছিল ২১টি গাড়ি। এর মধ্যে নিজের গাড়ির জন্য ২০০ টাকা এবং বহরের ২০টি গাড়ির জন্য ৪ হাজার টাকা টোল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু টানেল চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে। ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সাগর উপকূল ঘিরে শিল্পের নতুন দুয়ার খুলে গেছে।
টানেল পারাপারের জন্য টোল নির্ধারণ করে দেয় সরকার। সেতু বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, জিপ বা পিকআপের জন্য ২০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসের জন্য টোল ২৫০ টাকা। বাসের ৩১ আসন বা এর কম হলে টোল ৩০০ টাকা, ৩২ আসন বা তার বেশি হলে ৪০০ টাকা এবং ৩-এক্সেল বাসের জন্য টোল ৫০০ টাকা। ট্রাক-৫ টন পর্যন্ত ৪০০ টাকা, ৮ টন পর্যন্ত ৫০০ টাকা এবং ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাকের টোল ৬০০ টাকা। মালবাহী ৩ এক্সেল ট্রেলারের টোল ৮০০ টাকা, ৪ এক্সেল ট্রেলারে ১ হাজার টাকা এবং ৪ এক্সেলের বেশি প্রতি এক্সেলের জন্য ১ হাজারের সঙ্গে ২০০ টাকা যোগ করে টোল দিতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।