
চট্টগ্রামে অবরোধের প্রথম দিনে মহানগরীতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে জেলায় দুরপাল্লার সকল গাড়ি বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম-ঢাকা, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার চট্টগ্রাম বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ দুরপাল্লার কোন গাড়ি ছেড়ে যায়নি। মহাসড়কগুলো গাড়ি শূন্য রয়েছে। তবে উপজেলা সদরগুলোতে অভ্যন্তরীণ হাল্কা যানবাহন চলাচল করছে।
মহাসড়কের নিরাপত্তায় প্রশাসন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই এলাকায় বিজিবির টহল চলছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম জানান, রামগড় ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়ন থেকে দুই প্লাটুন বিজিবি মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানায় মোতায়েন করা হয়েছে৷ আগামী ৩ দিন অবরোধে মহাসড়কে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে।
বিজিবি চট্টগ্রাম আট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও মিলসরাই উপজেলায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। দুই প্লাটুন করে মোট চার প্লাটুনে আটটি গাড়ি করে রাত নয়টা থেকে টহল দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা।

অবরোধের প্রথম দিনে নগরীতে বিএনপি জামায়াতের কোন পিকেটিং চোখে পড়েনি। তবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় খন্ড খন্ড মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন।
বাস মালিকরা জানিয়েছেন, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের মধ্যে মহাসড়কে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল। নিরাপত্তা শঙ্কায় মহাসড়কে গাড়ি নামাতে সাহস পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ৩টি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
তবে অবরোধের মধ্যে টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রামের অভ্যন্তরীণ উপজেলাগুলোতে মিনিবাস, হিউম্যান হলার স্বাভাবিক চলাচল করছে। এছাড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে চলছে কিছু পণ্যবোঝাই ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানও।
খবর নিয়ে জানা গেছে, অবরোধে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লাসহ ৭-৮টি রুটে যানবাহনের কিছুবাস ছেড়ে গেলেও অধিকাংশ রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রশাসনের চাপেও গাড়ি বের করতে সাহস পাচ্ছে না মালিকরা।
নগরেীর বিআরটিসি বাস টার্মিনাল, শুভপুর বাস স্ট্যান্ড, কদমতলী বাস স্ট্যান্ড, তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু এলাকা, একে খান মোড়, অলংকার, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব যানবাহন ছেড়ে যায়নি।
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটের গাড়ি চললেও নিরাপত্তার শঙ্কায় চলছে না দূরপাল্লার বাস। আজ (মঙ্গলবার) সকালে ও গতকাল রাতেও কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। যার কারণে শঙ্কায় রয়েছে বাস মালিকেরা।
নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। তারা বলছেন, যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তারা সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন।