
জেলার হাটহাজারীতে বাস ও সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ৭ জনই একই পরিবারের সদস্য। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী, একজন পুরুষ ও তিনটি শিশু।
তারা হলেন, বিপ্লব (২৭), বাপ্পা (৩২), রিতা (৪০), শ্রাবন্তী (১৮), বর্ষা (১০), দ্বীপ (৩), দিগন্ত (৩)।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনার পর নিহতদের লাশ হাটহাজারী স্বাস্থ কেন্দ্রে নেয়া হলে আহত নিহতদের স্বজনদের আর্তনাদের পুরো এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
আহত নিহত সকলের বাড়ি চন্দনাইশে বলে পুলিশ জানায়। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে বাসচালক পালিয়ে গেছে।

নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবিল মাহমুদ জানায়, আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২ টার সময় হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া এলাকায় নাজিরহাট থেকে চট্টগ্রাম শহরমুখী একটি বাস ও বিপরিত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি টেক্সীর মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা শিশুসহ ১০ জন যাত্রীর মধ্যে ঘটনাস্থলে ৩ শিশুসহ ৭ নিহত হয়। আহত ৩ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর এই সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে এবং লাশ মর্গে নেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আহত নিহতরা সবাই সনাতনী ধর্মের লোক মৃত আত্মীয় শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তারা চন্দনাইশ উপজেলা থেকে হাটহাজারীর আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় কবলিত হয়।