
জেলার পটিয়া, ফটিকছড়ি ও চন্দনাইশ উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে এবং গতকাল রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দুই শিক্ষার্থী হল-তাইরিন তাবাসসুম তোহা (৯) নুর হোসেন (১৩) ও পথচারী মন্টু কর (৫০)।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের টেকের দোকানের সামনে চাঁদের গাড়ির চাপায় তাইরিন তাবাসসুম তোহা (৯) নামের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরও ২ জন শিক্ষার্থী। তাদের উদ্ধার করে নাজিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় লোকজন গাড়িটি আটকে রাখে।
মৃত তোহা ওই এলাকার হাফেজ জাহেদুল ইসলামের কন্যা। সে সুয়াবিল ইসলামিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আরেফিন আজিম বলেন, তিনজন শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় আনা হলে একজন মারা যায়। আহত একজন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং আরেকজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চন্দনাইশের বরমা কলেজের সামনে দ্রুতগতির সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নুর হোসেন (১৩) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
নুর হোসেন চন্দনাইশ পৌরসভার ৫ নম্বর দক্ষিণ হারলা নিজাম উদ্দীন পাড়া এলাকার রিকশাচালক শাহা আলমের ছেলে এবং ৫ম শ্রেণির ছাত্র। সকালে সাইকেলে ছোট ভাইকে বরমা রউলিবাগ মাদ্রাসায় দিয়ে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পুলিশ সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. জাহাঙ্গীরকে (৩২) আটক করেছে।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুল ইসলাম সড়কের একপাশে দাঁড়ানো অবস্থায় সাইকেল আরোহীকে সিএনজি মেরে দিলে ছেলেটির মৃত্যু হয়। সিএনজি চালককে আটক করে সিএনজিটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কেপটিয়ায় ঈগল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক পথচারী। তার নাম মন্টু কর (৫০)। সে উপজেলা খরনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের নিবারন করের ছেলে বলে জানিয়েছেন পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মন্টু কর নামের এক লোক রাতে বাজার করে মহাসড়ক পার হয়ে বাড়িতে ফেরার পথে ঈগল পরিবহনের বাসটি তাকে চাপা দেয়। এসময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আমরা ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। গাড়িটি জব্দ করা হলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।